নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদদের স্মরণ করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে তিনি লেখেন, ‘কৃষক দিবসে নন্দীগ্রামে কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনের শহিদদের স্মৃতির প্রতি আমার গভীর সমবেদনাসহ সকল কৃষক ভাইবোন ও তাঁদের পরিবারকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।’
তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের মূল লক্ষ্য হল কৃষকদের পাশে থাকা। ফের একবার সেই কথা মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের কৃষকরা সারাবছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে আমাদের মুখে অন্ন তুলে দেন। আমি তাঁদের পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানাই – তাঁরাই আমাদের গর্ব। তাই আমাদের সীমিত ক্ষমতায় যতটা করা সম্ভব আমরা বাংলার চাষী ভাই-বোনেদের জন্য করার চেষ্টা করি।’
২০০৭ সালের ১৪ মার্চ পুলিশের গুলি চালনায় এবং আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মমক্তা কৃষক-স্বার্থে বিভিন্ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন। তিনি লিখেছেন, ‘কৃষকবন্ধু (নতুন) প্রকল্পে আর্থিক সহায়তা, কর্মরত কৃষকদের মৃত্যুতে মৃত্যুজনিত সহায়তা, শস্য বিমার প্রিমিয়ামের সম্পূর্ণ খরচ বহন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আর্থিক সহায়তা, ফসলের অভাবী বিক্রি বন্ধ করতে কৃষকদের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান কেনা, কৃষক পেনশন প্রদান, ১৮৬টি ‘কিষাণ মান্ডি’ চালু করা, বিনামূল্যে কৃষি যন্ত্র প্রদান – সবকিছুই আমরা করেছি। ২০১৯ সাল থেকে আমাদের সরকার সম্পূর্ণ নিজের অর্থে বাংলা শস্যবিমা প্রকল্প চালু করেছে।’ একই সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমো মনে করিয়ে দেন, ‘আগামীদিনেও আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার এভাবেই আমাদের কৃষকবন্ধুদের পাশে থাকবে।’
প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির নেতৃত্বে জমি রক্ষা আন্দোলনের সময় ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ বামফ্রন্ট সরকারের পুলিশ অভিযান চালায়। ওই দিন পুলিশের গুলিতে ১৪ জন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ। নিহতদের স্মরণে প্রতি বছর ১৪ মার্চ রাজ্য জুড়ে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে তৃণমূল-সহ বিভিন্ন সংগঠন।