জেড্ডায় আমেরিকার বিদেশসচিব মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকের পর রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন ট্রাম্প। আমেরিকার তরফে জানানো হয়েছে, এ বার রাশিয়াকেও যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে বলবে ওয়াশিংটন। এই বৈঠকের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই রাশিয়াকে হুমকি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে অর্থনৈতিক অবরোধের মুখে পড়তে পারে রাশিয়া। পাশাপাশি ট্রাম্প আরও বলেছেন, তাঁর বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ চলতি সপ্তাহের শেষে মস্কো যাবেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য।
রাশিয়ার সঙ্গে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে ইউক্রেন। এই পরিস্থিতিতে ৩ বছরের রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতি হবে কি না, তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ক্রেমলিনের উপর। তাই ভ্লাদিমির পুতিনের উপর চাপ বাড়াতে ওভাল অফিসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প এই মন্তব্য করেছেন বলে অনেকের ধারণা।
রুশ সরকারের একটি সূত্র উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদ সংস্থা বুধবার জানিয়েছে, পুতিন সম্ভবত যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবেন না। ঘটনাচক্রে, তার পরেই ট্রাম্প ওই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মস্কোকে। ওয়াশিংটন থেকে সংবাদমাধ্যমকে ট্রাম্প বলেছেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। এ বার রাশিয়ার পালা। আশা করি, পুতিনও এতে সম্মত হবেন। দুই দেশেই বহু মানুষ মারা যাচ্ছেন। আমরা এই যুদ্ধের অবসান চাই।’ এর পরেই তাঁর মন্তব্য, ‘রাশিয়া যদি ইউক্রেনে সামরিক হানাদারি অব্যাহত রাখে তবে তারা গুরুতর অর্থনৈতিক পরিণতির মুখোমুখি হতে পারে।’
ট্রাম্পের এই হুঁশিয়ারির সত্ত্বেও যুদ্ধবিরতি নিয়ে সেভাবে কিছু জানায়নি ক্রেমলিন। জেলেনস্কি শান্তির পথে রাজি হওয়ার পর তারা শুধু বলেছিল, এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পর্কে আগে সমস্ত কিছু আমেরিকার থেকে জানা হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিন্তু ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট আগেই বলে দিয়েছেন, তিনি রাশিয়াকে বিশ্বাস করেন না। ফলে এখন সকলেই তাকিয়ে ওয়াশিংটনের দিকে।