• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

চূড়ান্ত ভোটদান ঘোষণার বিলম্বে ক্ষোভ কেজরিওয়ালের

শনিবার দিল্লির ৭০টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের নির্দিষ্ট সময় থাকলেও তার পরেও বেশ কিছু বুথে রাত পর্যন্ত লাইনে ছিলেন ভোটাররা।

অরবিন্দ কেজরিওয়াল (File Photo: IANS)

দিল্লির ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় চলে গেলেও কত শতাংশ ভােট পড়েছে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারল না নির্বাচন কমিশন। এই নিয়েই নির্বাচন কমিশনকে একহাত নিলেন অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন করছেটা কি? প্রশ্ন তােলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে এর মধ্যে চক্রান্তের অভিযােগও তােলা হয়েছে।

শনিবার দিল্লির ৭০টি কেন্দ্রে ভােটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভােটগ্রহণের নির্দিষ্ট সময় থাকলেও তার পরেও বেশ কিছু বুথে রাত পর্যন্ত লাইনে ছিলেন ভােটাররা। সেই পর্বও মিটেছে রাতেই। সরকারি ভাবে কত শতাংশ ভােট পড়েছে, সেই তথ্য জানাতে পারেনি দিল্লি নির্বাচন কমিশন। ভােট গ্রহণের দিনই সন্ধ্যের পর কত শতাংশ ভােট পড়েছে সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানানােই দস্তুর। যদিও রবিবার বিকেল পর্যন্ত কোনও সাংবাদিক বৈঠক হয়নি। শুধু জানা যায়, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভােট পড়েছে ৬১.৪৬ শতাংশ, যা ২০১৫ সালের ৬৭.৫ শতাংশের তুলনায় বেশ কিছুটা কম।

অরবিন্দ কেজরীওয়াল টুইট করে বলেন, ‘পুরােপুরি ধাক্কা, নির্বাচন কমিশন করছেটা কি? ভােটের এত ঘন্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কেন এখনও তারা ভােটের হার জানাচ্ছে না’। আপের নেতা সঞ্জয় সিংহ এর মধ্যে চক্রান্তের কথা তুলে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, দিল্লিতে মাত্র ৭০টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন হয়েছে। লােকসভা নির্বাচনের ভােটগ্রহণের দিনই প্রদত্ত ভােটের চূড়ান্ত হার জানিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশনা। যদি দিল্লিতে ভেটের পরদিনও জানাতে পারল না। এর অর্থ, ভিতরে ভিতরে কিছু চলছে। প্রসঙ্গত, শনিবার রাতের দিকে কমিশনের দিল্লির মুখপাত্র শেফালি শরন কমিশনের অ্যাপের একটি স্ক্রিনশট পােস্ট করেন ১০টা ১৭ মিনিটে। সেখানে দেখা যায় ভােট পড়েছে ৬১.৪৩ শতাংশ।

কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি বলেন, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফলের আশা কখনই করে না কংগ্রেস। পাশাপাশি আম আদমি পার্টির মুখ্য তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশংসাও শােনা যায় তাঁর গলায়। তিনি আরও বলেন, দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আমিত শাহ সাম্প্রদায়িক বিষয়গুলিকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অপরদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নানান উন্নয়নমূলক কর্মসূচিকেই নির্বাচনের প্রচার হিসেবে ঢাল কারে এসেছে। সেই নিরখেই অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভােটে জিতলে আদতে তা উন্নয়নের জয় জয়কারই হবে।

অন্যদিকে, মনােঞ্জ তিওয়ারির দাবি, সমস্ত বুথ ফেরৎ সমীক্ষার রিপাের্ট ভুল হবে এবং বিজেপিই জয়ী হবে। অবশেষে রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানাে হয় শনিবার ভােট পড়েছে ৬২.৫৯ শতাংশ।