বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অয়াসবেস্টসের উপস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ল জনসন অ্যান্ড জনসনের। এই অভিযােগের রেশ ধরে এবার জেরার মুখে পড়তে হল সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার অ্যালেক্স গােরস্কি। এই প্রথম এই ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হল তাঁকে।
বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অয়াসবেস্টসের উপস্থিতির বিষয়টি ২০১৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর প্রথম সংবাদসংস্থা রয়টার্স জনসমক্ষে এনেছিল। প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে ওই বছরের নভেম্বরে জনসন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যােগাযােগ করেছিলেন জনৈক সাংবাদিক। সরাসরি অ্যালেক্স গােরস্কি ইমেল পাঠিয়ে জনসনের বেবি পাউটারের অয়াসবেস্টসের উপস্থিতির সত্যতা এবং এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন তিনি।
এই ইমেল পাওয়ার মাত্র ৪৮ ঘন্টার মধ্য কোম্পানিতে নিজের শেয়ারের অংশ বিক্রি করে দিয়েছিলেন জে অ্যান্ড জে’র চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার। আর বেবি পাউডারে ক্যানসারের বিষের উপস্থিতির খবর রয়টার্সে প্রকাশের পরে জনসনের বাজারদর হু হু করে পড়ে গিয়েছিল। যে কারণে জে অ্যান্ড জে’তে অ্যালেক্স গােরস্কির নিজের অংশীদারিত্ব বিক্রির সময় নিয়ে প্রবল বিতর্ক দেখা দিয়েছে।
আগাম বিপদ আঁচ করে তিনি আগেভাগেই নিজের শেয়ার বিক্রি করে দিয়েছে বলে অভিযােগ। এই নিয়েই সােমবার জেরার মুখে পড়তে হয় জনসন অ্যান্ড জনসনের কর্তাকে। যদিও এই অভিযােগ উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। তাঁর পাল্টা দাবি, শেয়ার বিক্রির আগে সাংবাদিকের পাঠানাে ইমেল তিনি দেখেননি।
১৯৭১ সাল থেকে জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অয়াসবেস্টস থাকার একের পর এক ঘটনা সামনে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের ১৫,০০০ মামলা চলছে। যদিও কখনই অভিযােগ স্বীকার করেনি শতাব্দী প্রাচীন এই শিশুদ্রব্যের খ্যাতনামা সংস্থাটি।
গত বছরের অক্টোবরেও মার্কিন মুলুকে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারে ক্ষতিকারক অয়াসবেস্টসের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। সে কারণে বাজার থেকে ৩৩,০০০ বােতল বেবি পাউডার তুলে নিতে বাধ্য হয় তারা। সেবার অনলাইনে বেবি পাউডারের একটি বােতল কিনে তার পরীক্ষা করে মার্কিন হেলথ রেগুলেটরস। সেই পরীক্ষায় অয়াসবেস্টস মেলে। নিয়মিত অয়াসবেস্টস ব্যবহারে ক্যানসার হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।