চিনে করােনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৪ জনের। বর্তমানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৬। চিনের প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৪৫১৫ জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে।
সুত্রের খবর, শুধু তিব্বত নয়, বর্তমানে চিনের বিভিন্ন প্রান্তে করােনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন মানুষজন। এমনকি চিনের বাইরেও বিভিন্ন দেশে প্রভাব বিস্তার করেছে এই ভাইরাস। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, থাইল্যান্ডে ৭ জন, জাপানে ৩ জন, দক্ষিণ কোরিয়াতে ৩ জন, আমেরিকাতে ৩ জন, ভিয়েতনামে ২ জন, সিঙ্গাপুরে ৪ জন, মালয়েশিয়াতে ৩ জন, নেপালে ১ জন, ফ্রান্সে ৩ জন, অস্ট্রেলিয়াতে ৪ জন এবং শ্রীলঙ্কাতে ১ জন করােনাভাইরাসে আক্রান্ত। অত্যন্ত জরুরি না হলে আপাতত চিন সফর বাতিল করার নির্দেশিকা জারি করেছে ইজরায়েল প্রশাসন। এদিকে চিনে আটকে রয়েছেন বহু পর্যটক। তাদের দেশে ফেরানাের চেষ্টা করছে ফ্রান্স ও স্পেনের প্রশাসন।
ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে তৎপর চিনা প্রশাসন। মঙ্গলবার প্রশাসনের তরফে জানানাে হয়, নতুন করে ১৩০০ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। যেই স্থান থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল সেই হুবেই প্রদেশের ইউহান শহরে করােনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৪ জনের। সেখানে আক্রান্ত হয়েছে আরও ১২৯১ জন।
এদিকে যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে চিনের হুবেই প্রদেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে এই পরিস্থিতির দরুন ইউহানে আটকে পড়েছেন ২৫০ জন ভারতীয়। এই ভারতীদের ফিরিয়ে আনতে তৎপর হয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে চিনা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবে কেন্দ্রীয় সরকার, জানা গেছে এমনটাই। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিশেষ বিমানে ফিরিয়ে আনা হবে এই পর্যটকদের।
এদিকে করােনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রুখতে চিনের ইউহান শহরকে সম্পূর্ণ লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে যাতায়াতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে গিয়েছিলেন চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং নিজেও। যাতে করােনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষদের সঠিকভাবে চিকিৎসা করা যায় সেজন্য ইউহানে জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করা হচ্ছে হাসপাতালও।