• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

নির্ভয়া মামলা : পবন গুপ্তার নাবালকত্ব দাবির আবেদন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে

১ ফেব্রুয়ারি ভাের ছ'টায় নির্ভয়া কাণ্ডে প্রাণদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিংকে ফাঁসি দেওয়া হবে।

কোর্টের বাইরে নির্ভয়ার মা-বাবা। (File Photo: Amlan Paliwal/IANS)

ফের খারিজ ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি পবন গুপ্তার ‘নাবালকত্ব’ দাবির আবেদন– শীর্ষ আদালতের তরফে দোষী পবন গুপ্তার আবেদন খারিজ করে দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি পবন গুপ্তার আবেদনে সাড়া দিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার মতাে কোনও বিশেষ কারণ নেই।

আসামি পবন গুপ্তার আইনজীবী এ পি সিং বেঞ্চকে জানান, ২০১২ সালে ডিসেম্বরে ঘটনার সময় আবেদনকারী নাবালক ছিল। হাইকোর্ট ভুল করে আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছিল। শীর্ষ আদালতের তরফে দিল্লি হাইকোর্টের রায় বহাল রাখা হয়।

বিচারপতি আর ভানুমতি, বিচারপতি অশােক ভুষণ, বিচারপতি এ এস বােপান্না জানান, নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি পবন গুপ্তার আবেদনটি খারিজ করে দেওয়া হল। কারণ হাইকোর্টও তার নাবালকত্বের দাবিকে খারিজ করে দিয়েছিল। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশে হস্তক্ষেপ করার মতাে কোনও বিশেষ কারণ নেই।

হাইকোর্ট পবনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, দায়রা আদালতও তার নাবালক হওয়ার দাবি খারিজ করে দিয়েছিল। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি পবন গুপ্তা দু’দিন আগে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিল– চরম শাস্তি থেকে রেহাই পেতে শেষ চেষ্টা করা হয়েছিল। 

দিল্লি পুলিশের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘দোষী পবন গুপ্তার নাবালক হওয়ার দাবি নিয়ে নির্ভয়া গণধর্ষণ মামলার বিচার চলাকালীন বিচারবিভাগীয় ফোরামের সর্বত্র বিবেচনা করা হয়েছে। প্রতি মুহুর্তে বিশেষ করে শেষ পর্যায়ে দোষীকে যদি নাবালক হওয়ার দাবি জানিয়ে আবেদন করার সুযােগ দেওয়া হয়, তা মূলত হাস্যকর হয়ে দাড়াবে। পবন গুপ্ত ঘটনার সময়ে ১৯ বছর বয়স ছিল– জন্ম তারিখের শংসাপত্র ও স্কুল লিভিং সার্টিফিকেট প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে রেকর্ড করা হয়েছিল।

১ ফেব্রুয়ারি ভাের ছ’টায় প্রাণদন্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি মুকেশ সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিংকে ফাঁসি দেওয়া হবে। নির্ভয়া কাণ্ডে ২০১৩ সালে ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। দোষী পাঁচজনকে ঘটনার ভয়াবহতা বিবেচনা করে প্রাণদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৪ সালে হাইকোর্ট ও ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্ট দায়রা আদালতের নির্দেশ বহাল রেখেছিল। ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন স্থির হলেও দোষী মুকেশ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়।