চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী, বাঁকুড়ার সোনামুখীর কালী আরাধনা, কাটোয়ার কার্তিক লড়াইয়ে মতো পূর্ব বর্ধমানের কালনা শহরে সরস্বতী পুজো হয় সমারোহে। হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে এই পুজোর আয়োজনে। থিম আর সাবেকিয়ানার মেলবন্ধন ঘটে এখানকার পুজোয়। আর সেই পুজোর আয়োজনে রবিবার থেকে মহা সমারোহ শুরু হলো কালনা শহরে।
কালনার সরস্বতী পুজো গোটা রাজ্যে বিখ্যাত তার জাঁকজমক আর ঐতিহ্যের জন্য। ক্লাব, সমিতি ও প্রতিষ্ঠানগুলিতে সুদৃশ্য মণ্ডপ তৈরি হয়েছে। একদিকে মন্ডপে অভিনবত্ব অন্যদিকে আলো আর থিমের আয়োজন দেখতে রবিবার থেকেই মানুষের ঢল নেমেছে। বিভিন্ন মন্ডপে মন্ডপে চলে পুজো অর্চনা। রবিবার থেকেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটেছে।
সরস্বতী পুজো একদিনের হলেও কালনাতে চারদিন ধরে চলে উৎসব। কালনা শহর ও শহরতলিতে শতাধিক পুজো হয়। তার মধ্যে প্রায় ২৫ টির বেশি বিগ বাজেটের পুজো। সুদৃশ্য মণ্ডপ, প্রতিমা ও আলোর রোশনাই ও সামাজিক কাজে লক্ষ লক্ষ টাকার বাজেট রয়েছে পুজো কমিটিগুলোর। দুর্গা পুজোর মতো ধুমধাম করে এখানে সরস্বতী আরাধনা হয়ে থাকে। পুজোর ক’টা দিন লক্ষাধিক মানুষের ঢল নামে কালনা শহরে। প্রতিবছরের মতো এবারও পুলিস প্রশাসনের পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে পুজো কমিটিগুলিকে নিয়ে বৈঠক করেছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কালনার পাশে নদীয়া জেলা থেকে প্রচুর দর্শক পুজো দেখতে আসেন। তাই ভাগিরথী নদীতে ফেরিঘাট গুলোর উপর আলাদা নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পুজোর উদ্যোক্তাদের নিজস্ব অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, মণ্ডপে প্রবেশ ও বাইরে বের হবার আলাদা গেটও রাখা হয়েছে। আছে নিজস্ব ভলান্টিয়ার রাখার ব্যবস্থা।
তবে প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সাউন্ড সিস্টেমেও থাকছে বেশ কিছু বিধি নিষেধ। পুজোর দিনগুলোতে অতিরিক্ত পুলিস কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবে বলে জানানো হয়েছে। এদিকে প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে এবারও মহাসমারোহে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলগুলোতে সরস্বতী আরাধনার আয়োজন করেছে পড়ুয়ারা।