দীর্ঘকালের নিয়মে আসছে বদল। সরকারিভাবে অনুমােদন হাতে মিলেছে মাস তিনেক আগেই, এবার তা কার্যকর করার পালা। এবার থেকে আর প্রতি সপ্তাহে রেশন দোকানে গিয়ে হত্যে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না গ্রাহককে। মাসের পন্য একটি দিনেই তুলে নিতে পারবেন। প্রতি সপ্তাহ ধরলে মাসে চার দিন রেশন দোকানে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতে বাধ্য থাকতেন গ্রাহকরা।
এবার থেকে একদিন দাঁড়াতে হবে। ওই এক দিনেই গােটা মাসের জন্য বরাদ্দ মাল কিনে নিতে হবে এমনই নির্দেশিকা জারি করছে রাজ্যের খাদ্য দফতর। গ্রাহকের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই এই বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। শীঘ্রই নবান্নের তরফ থেকে এই বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
অনেকক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে ডিলারের অসাধু উদ্দেশ্যের ভুক্তভােগী হয়েছেন গ্রাহকরা। প্রতিমাসের শেষ সপ্তাহে কোনও না কোনও কারণ দেখিয়ে রেশন দেওয়া হয়নি গ্রাহককে। রেশনে ডিলারের কারচুপি রুখতেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে শেষ পর্যন্ত তারা হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরেছেন গ্রাহকরা।
সেই সব বিষয়ের কথা মাথায় রেখেই রেশন ব্যবস্থায় এই নতুন বদল আনতে চলেছে খাদ্য দফতর। প্রত্যেক গ্রাহকের নামের আদ্যাক্ষর দিয়ে তৈরি হবে তালিকা। সেই অনুযায়ী সপ্তাহের একটি নির্ধারিত দিনে একটি পরিবার তাদের মাসের মাল তুলতে পারবেন বলেও জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাদ্য দফতরের তরফ থেকে নির্দেশিকা পৌঁছে যাবে রাজ্যের সমস্ত ডিলারের কাছে। সপ্তাহের কোন দিন রেশন তুলতে পারবেন গ্রাহক তা ডিলারের কাছ থেকেই জানা যাবে।
এর পাশাপাশি খাদ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, সােমবার বন্ধ থাকবে রেশন দোকান। সেই দিন ডিসট্রিবিউটারের কাছ থেকে মাল তুলবেন ডিলাররা। তাই ওই দিন বন্ধ রাখা হবে দোকানগুলি।
এছাড়া রবিবারেও রেশন তােলার সময়েও আসছে বদল। একটি মাত্র ছুটির দিনে প্রত্যেকের পরিবারের বিভিন্ন রকম কাজকর্ম থেকেই থাকে। সেই কথাই ভেবেই রবিবার রেশন তােলার সময়ে বদল আনা হচ্ছে। একদিকে রবিবার সময় বাড়ানাে হচ্ছে অন্যদিকে দুবার রেশন দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন দফতরের মন্ত্রী।
রবিবার সকাল ৯ টা থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত চালু থাকবে এবং পুনরায় বিকেল ৪ টে থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত গ্রাহককে রেশন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রতিটি রেশন দোকানই ই-পস মেশিনের মাধ্যমেই পন্য দেওয়া হবে। এ বছর গােটা রাজ্যে ৫২ লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।