• facebook
  • twitter
Monday, 27 January, 2025

দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শনে কৃষি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি

এক বয়স্ক মানুষের পাশে বসে তাঁর দলিল রেকর্ড করার ব্যবস্থা করে দেন

নিজস্ব চিত্র

পূর্ব বর্ধমানে জেলা জুড়ে একেবারে উৎসবের আবহে চলছে দুয়ারে সরকার শিবির। জেলার ২৩ টি ব্লকেই শিবির গুলোতে উপচে পড়া ভিড় উপভোক্তাদের। বেশিরভাগ শিবিরে জনপ্রতিনিধি ও সরকারি আধিকারিকরা দাঁড়িয়ে থেকে উপভোক্তাদের সব রকমের সহযোগিতা করছেন। বর্ধমান ২ ব্লকের বৈকুণ্ঠপুর এলাকায় দুয়ারে সরকার শিবিরেই চক্ষু পরীক্ষা করা হয় সকলের। উপস্থিত হন সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক দিব্যজ্যোতি দাস, জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক রামশংকর মন্ডল। পূর্বস্থলীতে শিবিরে গিয়ে দিনভর তদারকি করেন এলাকার বিধায়ক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি মাঠে গিয়ে খেতমজুরদের সঙ্গে কথা বলে দুয়ারে সরকার শিবিরে অংশগ্রহণ করতে বলেন। খন্ডঘোষের শিবিরে থাকছেন জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ অপার্থিব ইসলাম। তিনি গ্রামের মানুষের সঙ্গে থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ৩৭ টি সরকারি প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে বুঝিয়ে আবেদন পত্র জমা করাচ্ছেন। এ ছাড়া ভাতার, মন্তেশ্বর, কালনা সহ জেলার প্রায় সবকটি শিবিরে শনিবারও ছিল উপচে পড়া ভিড়।

তারই মধ্যে এদিন জামালপুরে নবম দুয়ারে সরকার শিবির পরিদর্শন করলেন রাজ্যের কৃষি দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ওঙ্কার সিং মীনা। জামালপুরে-১ পঞ্চায়েতের সেলিমাবাদ হাই স্কুলে ও জোতশ্রীরাম পঞ্চায়েতের দুটি ক্যাম্প তিনি ঘুরে দেখেন। তাঁর সাথে ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানী, মহকুমা শাসক বুদ্ধদেব পান, ছিলেন জামালপুরের বিধায়ক অলোক কুমার মাঝি,পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পূর্ণিমা মালিক, সহ-সভাপতি ভূতনাথ মালিক, বিডিও পার্থসারথি দে, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহমুদ খান সহ অন্যান্যরা।

এদিন ওঙ্কার সিং মীনা ক্যাম্পে প্রতিটি প্রকল্পের জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে আধিকারিক এবং উপভোক্তাদের সাথেও কথা বলেন। এক বয়স্ক মানুষের পাশে বসে তাঁর দলিল রেকর্ড করার ব্যবস্থা করে দেন। তিনি বলেন , রাজ্য সরকারের লক্ষ্য রাজ্যের একটি মানুষও যেন সরকারি বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন। জোতশ্রীরামে গিয়ে তিনি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন।ধানের ক্ষতিপূরণ যাঁরা পেয়েছেন তাঁদের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা তুলে দেন। সেখানে কপি চাষের জমিতে নামেন। জমি পরিদর্শন করে চাষিদের কাছে জানতে পারেন কপি মাত্র ৫ টাকা করে দাম পাচ্ছেন। তখন তিনি ব্লকের কৃষি আধিকারিক সঞ্জিবুল ইসলামকে বলেন, আরএমসি র মাধ্যমে সঠিক দামে যেন এখানকার কৃষকদের কাছ থেকে কপি কিনে নেওয়া হয়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কৃষি দপ্তরের সর্বোচ্চ অধিকর্তা কে সামনে পেয়ে বেশ খুশি সাধারণ মানুষ থেকে উপভোক্তরা।