কেউ ভাবেননি শীর্ষ বাছাই আরিনা সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে দেবেন ১৯তম বাছাই ম্যাডিসন কিস। অভাবনীয় ভাবে জয় তুলে নিলেন ম্যাডিসন কিস। জিতলেন ৬-৩, ২-৬ ও ৭-৫ সেটে সাবালেঙ্কাকে হারিয়ে। তিনি হয়ে গেলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের নতুন রানি। ২৪ ঘন্টা আগে মার্কিনিদের ব্যর্থতা নিয়ে টেনিস মহলে কম ঝড় ওঠেনি। এবার সেই ঝড়কে থামিয়ে দিলেন মার্কিনি খেলোয়াড় কিস। ১৪ বছর পর কোনও মার্কিনি মহিলা টেনিস খেলোয়াড় নজির গড়লেন গ্র্যান্ড স্লামে চ্যাম্পিয়ন হয়ে। সেমিফাইনালে দ্বিতীয় বাছাই ইগা সিওনতেককে হারিয়ে শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা পাওয়ার লক্ষ্যে পা রেখেছিলেন এই মার্কিনি খেলোয়াড়।
২৯ বছরের কিস প্রথম সেট অনায়াসে জিতে নেন। কিন্তু দ্বিতীয় সেটে সাবালেঙ্কা ম্যাচে ফিরে আসতেই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে হ্যাটট্রিক করার স্বপ্নে রূপ দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তৃতীয় সেটে ফের ম্যাচ জিতে যান কিস। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরে কোর্ট থেকে কিস সোজা ছুটে যান তাঁর স্বামী তথা কোচ বিওর্ন ফ্রাতাঞ্জেলোর কাছে। যিনি এর আগে ২০১৭ সালে ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন। হেরে গিয়েছিলেন স্বদেশি স্লোন স্টিভেন্সের কাছে। তারপর আর কোনওদিন গ্র্যান্ড স্লামের ফাইনালে খেলার ছাড়পত্র পাননি। সেই কিস কিনা প্রথমবার ফাইনালে উঠে তুলে নিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। পেয়ে গেলেন প্রথম গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের মুকুট।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর উচ্ছ্বাসের সুরে ম্যাডিসন কিসকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি অনেকদিন ধরেই কোনও গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের লক্ষ্যে লড়াই করে চলেছিলাম। কিন্তু সেই আমার স্বপ্ন কিছুতেই পূরণ হচ্ছিল না। ভেবে পাচ্ছিলাম না আদৌ সেই স্বপ্ন আমার পূরণ হবে কিনা।’ সাবালেঙ্কাকে হেরে যাওয়ার পর প্রথমে নেটের পাশে গিয়ে কিসকে আলিঙ্গন করেন। তারপর দেখা যায় বেলারুশের টেনিস তারকাকে ভেঙে পড়তে। প্রথমে র্যা কেট দিয়ে আঘাত করেন। তারপর তোয়ালে দিয়ে পুরো মুখ মুছে মাঠ থেকে সোজা বেরিয়ে যান। কিছুক্ষণের মধ্যে ফের কোর্টে ফিরে আসেন সাবালেঙ্কা। রেড লেভার এরিনায় তখন প্রায় ১৫ হাজার দর্শক স্টেডিয়ামের আসন উঠে দাঁড়িয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনায় ভরিয়ে দেন। পরে সাবালেঙ্কা বলেন, ‘ম্যাডিসন কিস দুর্দান্ত খেলেছে। তবে আবার যখন ম্যাডিসনের বিরুদ্ধে খেলতে নামব তখন আশা করি এর চেয়ে ভাল খেলার চেষ্টা করব।’