নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৮ তম জন্মবার্ষিকী বৃহস্পতিবার পালিত হয় দেশজুড়ে৷ নেতাজির জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকীতে তাঁকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । এদিকে নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে বিতর্কিত পোস্ট করে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় লোকসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজের নেতৃত্ব দেওয়া স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষচন্দ্র বসুর স্মৃতিচারণ করে মোদী এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাঁর অবদান অতুলনীয়। তিনি সাহস ও দৃঢ়তার প্রতীক। তাঁর স্বপ্নের ভারত গঠনের লক্ষ্যে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলেছে, সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী পালিত হচ্ছে ‘পরাক্রম দিবস’ হিসেবে।” প্রধানমন্ত্রীর এই পোস্টের সঙ্গে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়, যেখানে নেপথ্যে কণ্ঠ দিয়েছেন মোদী নিজেই।
এদিকে নেতাজির জন্মবার্ষিকীতে রাজনৈতিক বিতর্কের সৃষ্টি হয় রাহুল গান্ধীর একটি পোস্টকে ঘিরে। এই পোস্টে নেতাজির প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাহুল গান্ধী। টুইটারে রাহুল লেখেন, ‘মহান বিপ্লবী, আজাদ হিন্দ ফৌজের প্রতিষ্ঠাতা নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে তাঁর জন্মবার্ষিকীতে আন্তরিক শ্রদ্ধা জানাই। নেতাজির নেতৃত্ব, সাহস, সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য তাঁর সংগ্রাম, সহনশীলতা ও অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান আজও প্রত্যেক ভারতীয়কে অনুপ্রাণিত করে। ভারতমাতার অমর পুত্র জয় হিন্দকে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি!’ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পাশাপাশি রাহুল গান্ধী নেতাজির একটি ছবি শেয়ার করেন, যার মধ্যে তাঁর মৃত্যুর তারিখ অন্তর্ভুক্ত ছিল। সেখানে নেতাজির জন্মদিবস ২৩ জানুয়ারি, ১৮৯৭ উল্লেখ করার পাশাপাশি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুদিন হিসাবে ১৮ আগস্ট, ১৯৪৫ উল্লেখ করা হয়। কার্যত নেতাজির মৃত্যুরহস্যকে অস্বীকার করা হয়েছে কংগ্রেস নেতার এই পোস্টে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর মৃত্যুদিন উল্লেখ করাকে কেন্দ্র করেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়। কারণ তাঁর মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন যে তিনি ওই তারিখে বিমান দুর্ঘটনায় বেঁচে গিয়েছিলেন এবং এমনকি অন্যরাও তাঁকে চিহ্নিত করেছিলেন। এই নিয়ে বিভিন্ন সময়ে একাধিক তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। যদিও নেতাজির শেষ জীবন নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি। তা সত্ত্বেও তাঁর মৃত্যুদিন উল্লেখ করায় তীব্র সমলোচনার মুখে পড়েন রাহুল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করেন। তিনি রাহুলের তারিখের উল্লেখকে ‘অসম্মানজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।