ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়লেন খোদ রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আজব এই কাণ্ড ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। এখানকার নতুন ভোটার তালিকায় নাম নেই এক সময়ের মুখ্যমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াতের। যা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার উত্তরাখণ্ডে ১১টি পৌরসভা, ৪৩টি মিউনিসিপাল কাউন্সিল এবং ৪৬টি নগর পঞ্চায়েতে ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াত ভোট দিতে গিয়ে জানতে পারলেন, ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। কার্যত দেরাদুনের স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়া হল না তাঁর। ভোট দিতে না পেরে ক্ষুব্ধ রাওয়াত সাংবাদিকদের সামনে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে তিনি রাজ্যের শাসকদল বিজেপি-কে নিশানা করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যের বর্তমান শাসকদল ইচ্ছামতো নিজেদের লোকদের ভোটার তালিকায় নাম ঢোকাচ্ছে। এবং বিরোধীদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছে।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন,’লোকসভা নির্বাচনে ভোট দিয়েছি, কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি ভোটার তালিকা থেকে আমার নাম বাদ চলে গিয়েছে। আমার সতর্ক থাকা উচিত ছিল। ওরা (বিজেপি) ভোটার তালিকা থেকে নিজেদের পছন্দ মতো নাম বাদ দিচ্ছে এবং নথিভুক্ত করছে।’ প্রসঙ্গত এর আগে ভোটার তালিকা নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টির নেতারাও একই অভিযোগ তুলেছে।
উল্লেখ্য, রাওয়াত ২০০৯ সাল থেকে দেরাদুনের নিরঞ্জনপুর পাড়া থেকে ভোট দিয়ে আসছেন। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচন এবং গত লোকসভা নির্বাচনেও তিনি এখান থেকে ভোট দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার ভোট দিতে গিয়ে দেখা যায়, ভোটার তালিকায় তাঁর নাম খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা করেও খুঁজে না পাওয়ার পর নির্বাচনী আধিকারিকদের পক্ষ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ভোটার তালিকায় তাঁর নাম নেই। এরপরই বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সরব হন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিন তিনি বিজেপির ওপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘আমি সেই সকাল থেকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছি। কিন্তু জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমার তালিকায় নাম নেই। আমার নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। আমার আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল।’
তিনি রাজ্য নির্বাচন কমিশনে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে বলেছেন, বুথ থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সার্ভারটি খারাপ আছে। নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন না তিনি।