• facebook
  • twitter
Thursday, 23 January, 2025

থাইল্যান্ডে কার্যকর সমলিঙ্গের বিয়ে, উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি দিল থাইল্যান্ড। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে সমলিঙ্গের বিয়ের আইন কার্যকর হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে সমলিঙ্গের বিয়ের আইনি স্বীকৃতি দিল থাইল্যান্ড। বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডে সমলিঙ্গের বিয়ের আইন কার্যকর হয়েছে। ২০২৪ সালের জুনে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে সমলিঙ্গের বিয়ের বিল পাস হয়। সেপ্টেম্বরে থাই রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন বিলটি অনুমোদন করেন। অনুমোদনের ১২০ দিন পর আইনটি কার্যকর হল।

আইনটি কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন সমকামী যুগলরা। বৃহস্পতিবার সারা দেশে এক হাজারের বেশি সমলিঙ্গের জুটি বিয়ে করেন। ব্যাংককের একটি বিলাসবহুল হলে ১০০-র বেশি সমলিঙ্গের জুটি বিয়ে করেন। নয়া আইন কার্যকর হতেই প্রথম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন থাইল্যান্ডের দুই জনপ্রিয় অভিনেতা। বিয়ের পর তাঁরা বলেন, এই অধিকারের জন্য দীর্ঘদিন লড়াই করছিলাম। আজকের দিনটি সত্যিই জীবনের সেরা দিন।

আইনটি কার্যকর হওয়ার পর থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা ফেসবুকে পোস্টে লেখেন, দুই দশকেরও বেশি লড়াই এবং দুই দশকের কুসংস্কার ও সামাজিক মূল্যবোধের মোকাবিলা শেষে আমরা এই দিনে পৌঁছতে পেরেছি। সমলিঙ্গে বিয়ের এই আইনটি থাই সমাজের লিঙ্গ বৈচিত্র্যের বৃহত্তর সচেতনতার সূচনা। এই আইনটি নিশ্চিত করে, প্রত্যেকে সমান অধিকার এবং মর্যাদার অধিকারী।

তাইওয়ান ও নেপালের পর এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিল থাইল্যান্ড। স্রেথা থাভিসিন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন আইনটি থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে পাস হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আইনটি কার্যকর হওয়ায় তিনি অভিনন্দন জানিয়ে এক্সে পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, সবার প্রয়াসে সমলিঙ্গের বিয়ে সত্যিই সম্ভব হয়েছে।

২০০১ সালে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছিল নেদারল্যান্ড। তারপর প্রায় ৩০টি দেশ একে একে সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত-সহ একাধিক দেশে বিয়েকে আইনি বৈধতার দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন সমকামীরা। যদিও ভারতের সুপ্রিম কোর্ট সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনি বৈধতা দিতে অস্বীকার করেছে।