বাংলার মনীষীদের অবদানের কথা তুলে ধরে রাজ্যবাসীর মন জয় করে নিতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। শনিবার রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পরে এদিন সন্ধ্যায় ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং’এর অনুষ্ঠানে যােগ দেন প্রধানমন্ত্রী। আর এখানেই তিনি বাংলার বিপ্লবীদের কথা তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী কারেন্সি বিল্ডিং’এর উদ্বোধন করতে গিয়ে ঘােষণা করেন, নতুন দশকে বাংলাকে সম্মান দেওয়া হবে। এই মাটির ইতিহাস বাংলাকে গৌরাবান্বিত করেছে। আমাদের এই ঐতিহ্যকে রক্ষা করে যেতে হবে। ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়ালের তিন নম্বর গ্যালারিটির ‘বিপ্লবী ভারত’ নামকরণ করার কথাও ঘােষণা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই গ্যালারিতে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের বিশেষ জায়গা দেওয়া হবে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু, বিপ্লবী অরবিন্দ, বিনয়-বাদল-দীনেশের মতাে বিপ্লবীদের বর্ণময় ইতিহাস স্থান পাবে এই সমস্ত গ্যালারিতে। বিল্পবীদের বর্ণময় ইতিহাস এবং আদর্শের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
তাঁর কথায়, দিল্লির লাল কেল্লায় নেতাজির নামে একটি মিউজিয়াম হয়েছে। আন্দামান নিকোবরে একটি দ্বীপের নামকরণ করা হয়েছে নেতাজির নামে। তিনি এও বলেন, আমরা চাই বাংলার বিল্পবীদের ইতিহাস যথাযথভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরা হােক।
ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়াল হলের সঠিক যত্ন নেওয়া হচ্ছে না বলে এদিন অভিযােগ করেন প্রধানমন্ত্রী। মেমােরিয়াল হলের ইতিহাসের কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, এখানে চারটে গ্যালারি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। আমরা চাইছি সমস্ত গ্যালারিগুলি নতুন করে চালু করা হােক।
আলিপুর টাকশালে নতুন একটি কয়েন মিউজিয়ামের কথাও ঘােষণা করে প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি ভিক্টোরিয়া মেমােরিয়াল হল, মেটকাফ হাউস, বেলভেডিয়ার ভন সহ আরও চারটি ভবনকে হেরিটেজ ভবন হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘােষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।
ওল্ড কারেন্সি বিল্ডিং’এর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেলুর মঠের স্মৃতিচারণা করেন। তিনি জানান, বেলুড় মঠের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। কলকাতায় এলেই বেলুড় মঠের কথা মনে পড়ে বলে জানান তিনি। বেলুড় মঠে গিয়ে ধ্যানে বসবেন বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মিলেনিয়াম পার্কে লাইট অ্যান্ড সাউন্ডের অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।