চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে সংস্কার কার্য শুরু হচ্ছে বারাসতের উড়ালপুলে। প্রতি সপ্তাহের শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সোমবার ভোর পর্যন্ত এই সংস্কারের কাজ চালাবেন পূর্ত দপ্তরের বারাসত ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়াররা। কাজ চলাকালীন উড়ালপুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তই নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই কাজ চলবে আগামী ৪০দিন পর্যন্ত। উড়ালপুল বন্ধ থাকাকালীন যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার বিকল্প উপায় কি? এই উপায় খুঁজতেই বুধবার মধ্যমগ্রামের দোলতলা পুলিশ লাইনে বিভিন্ন থানার পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ সহ বাস, ট্রাক, অটো, টোটো ইউনিয়নের কর্মীদের নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে বিশেষ বৈঠক সারলেন বারাসত পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৫ জানুয়ারি থেকে প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৩টে পর্যন্ত বারাসত উড়ালপুলের উপর দিয়ে সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে অন্যান্য দিনও কোন ধরনের ভারী গাড়ি যাতায়াত করতে পারবে না উড়ালপুল দিয়ে। কেবল যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে স্পর্শ নীলাঙ্গি বলেন, ‘ফ্লাইওভার সংস্কার চলাকালীন শহরের যানজট এড়ানোর জন্যই ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবুও, যানজট তৈরী হলে সাধারণ মানুষকে বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। কলকাতা থেকে উত্তরবঙ্গে যাওয়া যাত্রীবাহী বাস বারাসতের কলোনি মোড় ধরে যাতায়াত করতে পারবে।’
পুলিশ সূত্রে খবর, এই ফ্লাইওভারের নিচে ৩২টি পিলার রয়েছে এবং প্রতি পিলারের সঙ্গে রয়েছে বিয়ারিং। মূলত এই বিয়ারিং-এ সংস্কার কার্য চলবে। ফ্লাইওভারের যে পিলারে কাজ হবে, সেদিন ওই নির্দিষ্ট পিলারের নিচে বসা হকারদের সরিয়ে দেওয়া হবে। টাকি রোড ধরে যে সমস্ত গাড়ি এই ফ্লাইওভার দিয়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে যাতায়াত করে সেগুলোকে কাচকল মোড় সংলগ্ন দাদার মোড় থেকে ঘুরিয়ে দত্তপুকুর হয়ে জাতীয় সড়কে নিয়ে যাওয়া হবে।
অন্যদিকে, বনগাঁর দিক থেকে যে সমস্ত গাড়ি বারাসতের উড়ালপুল হয়ে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে, সেগুলিকে অশোকনগরের বিল্ডিং মোড়ের ডানদিকে ঘুড়িয়ে দেওয়া হবে। বারাসত শহরে না ঢুকিয়ে পণ্যবাহী ট্রাকগুলি কল্যানী এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বলেই বারাসত ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর। এছাড়া বারাসত তিতুমীর বাস স্ট্যান্ড থেকে যে বাসগুলি ব্যারাকপুরে যায়, সেগুলির জন্য বারাসত-ব্যারাকপুর রোডের সত্যভারতী স্কুলের সামনে অস্থায়ী স্ট্যান্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাগুলিয়ার বাসের অস্থায়ী স্ট্যান্ড করা হয়েছে ময়নায়। পাশাপাশি কলোনি মোড় থেকে চাপাডালি মোড়ের অটো এবং টোটো যাতায়াত করবে ১১ নম্বর রেলগেট সংলগ্ন সন্ধ্যানী ক্লাবের সামনের রাস্তা ধরেই। ফ্লাইওভার সংলগ্ন কোনো জায়গায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে ফায়ার ব্রিগেড দ্রুততার সঙ্গে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য ডাকবাংলো এবং চাপাডালির ট্রাফিক পুলিশ বিশেষ ব্যবস্থা করবে বলেই জানা গিয়েছে।