• facebook
  • twitter
Wednesday, 22 January, 2025

বিনিয়োগে আপত্তি শ্রাচী গ্রুপের আরও বিপাকে মহমেডান স্পোর্টিং

ক্লাবের অন্যতম বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘শ্রাচী’ গ্রুপ হাত তুলে নিতে চলেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে ক্লাবের মউ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে।

মহামেডান ক্লাব। ফাইল চিত্র

মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব মাঝপথে নতুন করে বিপাকে পড়ে গেল। আইএসএল ফুটবল চলাকালীন এই বিপাক আরও জটিল আকার ধারণ করল। ক’দিন আগেই ফুটবলারদের বকেয়া অর্থ না দেওয়ার কারণে ফুটবলাররা অনুশীলনে নামতে অস্বীকার করেন। তবে, প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা খেলোয়াড়দের সঙ্গে কথা বলে প্রথম দফায় আবার অনুশীলনে নামার অনুরোধ করেন। কিন্তু শেষ ম্যাচে জয় পাওয়ার পরে ফুটবলাররা আবার বেঁকে বসেন। এমনকি অনুশীলনে তাঁরা নামতে অস্বীকার করেন। তাঁরা বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত আমাদের বকেয়া অর্থ না দেওয়া হচ্ছে, ততদিন কোনওভাবেই আর অনুশীলনে অংশ নেব না। শুধুমাত্র সন্তোষ ট্রফি জয়ী কয়েকজন খেলোয়াড়কে সাদা-কালো শিবিরে সই করানো হয়। তাঁরা ছাড়া কেউই অনুশীলনে যোগ দেননি। আর এবারে আরও বিপাকে পড়ে গেছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এমন অবস্থা হয়্ছে আইএসএল ফুটবলে তাঁরা আর খেলতে নামবেন কিনা, তা নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

ক্লাবের অন্যতম বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘শ্রাচী’ গ্রুপ হাত তুলে নিতে চলেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই তাঁদের সঙ্গে ক্লাবের মউ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। আবার প্রতিশ্রুতি মতো মহমেডান তাদের যে শেয়ার দেওয়ার কথা ছিল, তাও দেয়নি। মঙ্গলবার শ্রাচী গ্রুপের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই মউ চুক্তি অনুযায়ী ৫০ শতাংশের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। তবুও এখনও পর্যন্ত শেয়ার হস্তান্তর করা হয়নি। গত ১৫ জানুয়ারি মউ-এর মেয়ার শেষ হওয়ার পরে ক্লাবের প্রতি সংস্থার আর কোনও দায়বদ্ধতা নেই। এমনকি কোনও টাকা দেওয়ার ব্যাপার নেই। এই বিবৃতির পর শ্রাচী গ্রুপের সঙ্গে মহমেডানের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে বলে মনে করা যেতেই পারে। সেই কারণেই আইএসএল ফুটবলে তাদের খেলা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল।

শ্রাচী গ্রুপের সঙ্গে এখনই মহমেডানের সম্পর্ক ত্যাগ হয়ে গিয়েছে, সে কথা বলা হচ্ছে না। সব জটিলতা মিটিয়ে একসঙ্গে কাজ করার কথাও বলা হয়েছে। মহমেডান কর্মকর্তাদের সঙ্গে শ্রাচী গ্রুপের এবং অপর স্পনসর সংস্থা বাঙ্কারহিলের বৈঠক হওয়ার কথা। সমস্যা কীভাবে মিটিয়ে নেওয়া যায় তার জন্য সক্রিয় ভূমিকা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। মহমেডানের সঙ্গে মউ চুক্তিতে শ্রাচী গ্রুপকে বলা হয়েছে ১০০ শতাংশের মধ্যেই শেয়ারের ৬১ শতাংশ পাবে বাঙ্কারহিল। তার মধ্যে ৩০.৫ শতাংশ শেয়ার শ্রাচী গ্রুপ পাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ার হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত ক্লাবের সমস্ত খরচ চালাতে হবে ক্লাব কর্মকর্তাদের।

শোনা যাচ্ছে, এই সমস্যা মেটাতে কমপক্ষে তিন সপ্তাহ লাগতে পারে। প্রথম বারই আইএসএল ফুটবল খেলতে নেমে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে। বেতন নিয়ে ক্লাব ফুটবলারদের অসন্তোষ বেশ অনেকদিনের। চেন্নায়ের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়েছিল। তা কিছুটা প্রশমিতকরা গেলেও, পরবর্তী সময়ে কর্মকর্তারা ফুটবলারদের বকেয়া অর্থ দেননি। গত সোমবার ফুটবলারদের ডাকা হয়েছিল ক্লাবে। কিন্তু কেউই এই ডাকে সাড়া দেননি।