• facebook
  • twitter
Tuesday, 21 January, 2025

বীরভূমের নলহাটিতে জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা

অনেকখানি পাহাড়ি এলাকার সাদৃশ্যের নলহাটির নলাটেশ্বরীর সঙ্গে এক সময় আদিবাসী সমাজের একটা নিবিড় যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছিল।

সামাজিক এবং আর্থিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষদের যে সব উৎসব-অনুষ্ঠানগুলি রয়েছে, সেগুলিকে সামনে নিয়ে আসার মধ্যে দিয়ে সকল শ্রেণির মানুষের সম্মিলিত ভাবনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পরেই সূচনা করেছিলেন জঙ্গলমহল উৎসবের। এবার সোমবার ২০ জানুয়ারি থেকে দু’দিনের জঙ্গলমহল উৎসব হচ্ছে বেশ কয়েকটি জেলায়। তার মধ্যে বীরভূম জেলাতেও এই উৎসবের সূচনা হল নলহাটির চামটিবাগানের পোধরা খেলার মাঠে। আদিবাসী প্রথায় এই উৎসবের সূচনায় নলহাটির উৎসব প্রাঙ্গণ এদিন একটা ভিন্ন রূপ পেয়েছিল।

ঝাড়খণ্ড রাজ্য সংলগ্ন বীরভূম জেলার নলহাটি এমন একটি এলাকা যেখানে রয়েছে নলাটেশ্বরী মন্দির। অনেকখানি পাহাড়ি এলাকার সাদৃশ্যের নলহাটির নলাটেশ্বরীর সঙ্গে এক সময় আদিবাসী সমাজের একটা নিবিড় যোগসূত্র স্থাপিত হয়েছিল। এখানকার পাহাড়ি টিলা এলাকা আদিবাসীদের কাছে অত্যন্ত প্রিয় হওয়ায়, এই জনগোষ্ঠীর মানুষেরা এখানে একদা বসতি গড়ে তুলেছিলেন। এবার জঙ্গলমহল উৎসবের জন্য এই স্থানটি নির্বাচিত হওয়ার এখানকার মানুষ যেমন উৎফুল্ল, তেমনি এখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীও এই স্থানটিকে জঙ্গলমহল উৎসবের জন্য নির্বাচিত করায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এদিন দু’দিনের জঙ্গলমহল উৎসবের সূচনা করেন এসআরডিএ-র চেয়ারম্যান অনুব্রত মণ্ডল। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ এবং কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক (শেখ কাজল), সহ-সভাধিপতি স্বর্ণলতা সরেন, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নারায়ণ হালদার, জেলাশাসক বিধান রায়-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তাগণ রাজ্য সরকারের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পগুলির কথা উল্লেখ করেন।

জেলা পরিষদের সভাধিপতি ফায়েজুল হক তাঁর বক্তৃতায় বাম জামনায় আমলাশোল, বাঘমুণ্ডির অনুন্নত শ্রেণির মানুষদের সামাজিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকার সুযোগ নিয়ে মাওবাদীরা তাঁদের কী ভাবে বিভ্রান্ত করেছিলো তার উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে সেই পরিস্থিতির আমূল বদল ঘটে গিয়েছে। তিনি মানুষকে মাওবাদী মুক্ত করে স্বস্তির পরিবেশ ফিরিয়ে দিয়েছেন। ক্ষুধার্ত মানুষ এখন আর্থ-সামাজিক পরিকাঠামোয় তাঁদের কৃষ্টি, সাংস্কৃতিক সম্মানের বৈচিত্র্যের মধ্যে জীবনযাপন করতে পারছেন। অনুব্রত মণ্ডল আদিবাসী সমাজের যে সব উৎসবগুলি রয়েছে তার উপরে আলোকপাত করে আদিবাসী সমাজের মানুষদের মানোন্নয়নের উপরে জোর দেন।