• facebook
  • twitter
Monday, 20 January, 2025

মেদিনীপুর মেডিক্যালে সাসপেন্ড ৭ পিজিটির চিঠি মুখ্যমন্ত্রীকে

আন্দোলনে গররাজি জুনিয়ররা

ফাইল চিত্র

কয়েকদিন আগে মেদিনীপুর মেডিক্যালে নিষিদ্ধ স্যালাইনে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তার জেরে সুপার ছাড়াও ১২ ডাক্তারকে সাসপেন্ড করেছে নবান্ন। এবার তাঁরা চিঠি দিয়ে শাস্তি প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। সাসপেন্ড হওয়া ৭ পিজিটি কলেজ অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দীর মাধ্যমে এই চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিবকে। এবিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ মৌসুমী নন্দী চিঠির সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পৌঁছেছে। এখন দেখা যাক কী হয়।’

গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঁচজন প্রসূতির সিজার করা হয়। তাঁর মধ্যে একজন প্রসূতি মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। বাকিরাও অসুস্থ হয়ে পড়েন। সে সময় কোনও সিনিয়র ডাক্তার হাজির ছিলেন না। জুনিয়র ডাক্তার তথা পিজিটি ছাত্রছাত্রীরাই ওই সিজার করেন। যা নিয়ম বহিৰ্ভূত। এদিকে তদন্তে জানা যায়, ঘটনার দিন একজন সিনিয়র ডাক্তার ডিউটিতে হাজির ছিলেন না। তিনি একটি প্রাইভেট হাসপাতালে অন্য একটি সিজারে ব্যস্ত ছিলেন। তদন্তে তার প্রমাণও পেয়েছে নবান্ন। এরপরই মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গাফিলতির জন্য ঘটনার সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে এই সাসপেন্ডের ঘোষণা করেন।

প্রসঙ্গত এই ঘটনায় এ পর্যন্ত জুনিয়র ও সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১৩ জন চিকিৎসককে সাসপেণ্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও দায়ের হয়েছে। যার মধ্যে আছেন এই সাতজন পিজিটি ছাত্রছাত্রী।

এদিকে এই ঘটনার প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন কর্ম বিরতির ঘোষণা করলেও সব জুনিয়র ডাক্তাররা সেই ডাকে সাড়া দেননি। তাঁদের অধিকাংশই যথারীতি কাজে যোগ দেন। যদিও শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখার পর রাতে মেডিক্যাল কলেজের বারান্দাতেই অবস্থানে বসে পড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ। সেই অবস্থান চললেও সুর নরম হয়ে গিয়েছে তাঁদের। মানবিকতার কারণে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে শাস্তি প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চলবে বলেই তাঁরা জানিয়েছেন।