• facebook
  • twitter
Sunday, 19 January, 2025

বন্দিদের তালিকা প্রকাশ করলো হামাস, যুদ্ধ বিরতি শুরু পশ্চিম এশিয়ায়

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিলো  ইজরায়েল-হামাস সংঘাত। তারপর একদিনের জন্যেও প্যালেস্টাইনে বোমা বর্ষণ থামায়নি ইসরায়েলি সেনা। মধ্যে পণবন্দিদের নিয়ে যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন হলেও, সেই চুক্তি মানেনি ইজরায়েল।

ফাইল চিত্র

শেষ মুহূর্তে সব ভেস্তে যেতে বসেছিলো।  ইজ়রায়েল এবং হামাসের যুদ্ধবিরতি রবিবার থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বন্দিমুক্তির কয়েক ঘণ্টা আগে  হামাসকে হুমকি দিয়ে কতজন পণবন্দি আটকে রয়েছেন তার বিস্তারিত তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছিলেন তিনি। সেই সঙ্গে পণবন্দিদের শারীরিক অবস্থা কেমন আছে সেই বিষয়টিও জানতে চেয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। নেতানিয়াহুর দাবি, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার আগেই শর্ত ভাঙতে শুরু করে দিয়েছে প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। কথা হয়েছিল, বিরতি শুরুর আগেই হামাস পণবন্দিদের তালিকা প্রকাশ করবে। এই তালিকা যদি প্রকাশ না করা হয়, তাহলে যুদ্ধবিরতি কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এরপরেই হামাস বন্দিদের তালিকা জানিয়ে দেয়। হামাসের তরফে জানানো হয়েছে, রোমি গনেন, এমিলি ডামারি, ডোরন স্টেইনব্রিচার নামের তিন মহিলাকে আপাতত মুক্তি দেওয়া হবে। তারপর ধীরে ধীরে বাকিদের মুক্তি দেওয়া হবে। এই ঘোষণার পরেই ইজরায়েলের তরফ থেকে যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করা হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছিলো  ইজরায়েল-হামাস সংঘাত। তারপর একদিনের জন্যেও প্যালেস্টাইনে বোমা বর্ষণ থামায়নি ইসরায়েলি সেনা। মধ্যে পণবন্দিদের নিয়ে যুদ্ধবিরতির চুক্তি সম্পন্ন হলেও, সেই চুক্তি মানেনি ইজরায়েল। হামাসের হাতে  ২৫০ জন পণবন্দির মধ্যে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হলেও এখনও  ৯৪ জন হামাসের হাতে বন্দি। ইজরায়েলের আধিকারিক জানিয়েছেন, পণবন্দিদের মধ্যে এখনো ৩৩ জন জীবিত আছে। তাদের ফেরতের পরিবর্তে ৪২ দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তি করতে চেয়েছিলো হামাস। যুদ্ধবিরতির জন্য লাগাতার মধ্যস্থতা চালিয়েছিলো  মিশর, সৌদি আরব ও কাতারের মতো দেশ। ইজরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দিলেও যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয় আমেরিকাও। সেই মতো আলোচনায় বসে হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিরা। দুপক্ষের বৈঠক সদর্থক হয়। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, আগামীকাল রবিবার তিন বন্দিকে মুক্ত করবে হামাস যার মাধ্যমেই শুরু হবে যুদ্ধবিরতি। ধাপে ধাপে ৩৩ জন বন্দিকে ইজরায়েলের হাতে তুলে দেবে হামাস।

কিন্তু যুদ্ধবিরতি শুরুর আগে নেতানিয়াহু জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘যে পণবন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে, তাঁদের নামের তালিকা আমরা এখনও হাতে পাইনি। এ বিষয়ে উভয়পক্ষই সহমত হয়েছিল। ওই তালিকা না-পেলে আমরা চুক্তির শর্ত অনুযায়ী এগোতে পারব না। চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন বরদাস্ত করবে না ইজ়রায়েল। এর জন্য একমাত্র দায়ী থাকবে হামাস।’ নেতানিয়াহুর এহেন হুঁশিয়ারিতে স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হচ্ছিলো তাহলে কি ফের যুদ্ধ শুরু হবে পশ্চিম এশিয়ায়। অবশেষে  জানা যায়, রবিবার তিন পণবন্দিকে মুক্ত করেছে হামাস। এরপর ধাপে ধাপে ৩৩ জন বন্দিকে ইজরায়েলের হাতে তুলে দেবে হামাস। অন্যদিকে, জেলেবন্দি ২ হাজার জন প্যালেস্তিনীয়কে মুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে ইজরায়েল। অবশেষে হামাস তালিকা প্রকাশ করতেই শান্তি ফায়ার এলো গাজা সীমান্তে।