• facebook
  • twitter
Sunday, 19 January, 2025

সাজ্জাককে বন্দুক যোগান দেওয়ার অভিযোগ, গোয়ালপোখর কাণ্ডে গ্রেপ্তার শেখ হজরত

গোয়ালপোখর কাণ্ডে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ হজরত। পুলিশের দাবি, হজরতই সাজ্জাক আলমের হাতে বন্দুক তুলে দিয়েছিল।

প্রতীকী চিত্র।

গোয়ালপোখর কাণ্ডে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতের নাম শেখ হজরত। পুলিশের দাবি, হজরতই সাজ্জাক আলমের হাতে বন্দুক তুলে দিয়েছিল। বুধবার ইসলামপুর আদালত চত্বরে সাজ্জাকের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র তুলে দেয় হজরত। রবিবার তাকে গ্রেপ্তার করে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। গোয়ালপোখর থানার বলদিয়াভাষা এলাকার বাসিন্দা হজরতের বয়স ২৪। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগ্নেয়াস্ত্রর পাশাপাশি ২ পুলিশকর্মীকে গুলি করার পর পালিয়ে যাওয়ার জন্য সাজ্জাককে বাইকের ব্যবস্থা করে দিয়েছিল হজরতই।

খুনের মামলার আসামি ছিল এই সাজ্জাক। মামলার শুনানির জন্য গত বুধবার তাকে রায়গঞ্জ থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ইসলামপুর আদালতে। তবে আদালত থেকে ফেরত আসার পথে শৌচকর্ম করার অনুরোধ জানায় নিহত সাজ্জাক। তার অনুরোধে গাড়ি থামিয়ে শৌচকর্ম সেরে ফেরার পথেই ঘটে বিপত্তি। দুই পুলিশকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় সাজ্জাক। সাজ্জাকের গুলিতে জখম হয়েছিলেন রায়গঞ্জ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর নীলকান্ত সরকার ও কনস্টেবল দেবেন বৈশ্য। এরপর সাজ্জাকের খোঁজে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সাজ্জাককে ধরার জন্য ২ লক্ষের পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ।

শনিবার ভোরে বাংলাদেশ পালানোর সময় পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় সাজ্জাকের। পুলিশ সূত্রে খবর, গোয়ালপোখর থানার সাহাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্রীপুরে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল আসামি সাজ্জাক। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার ভোর রাতে যখন সীমান্ত এলাকায় হানা দেয় পুলিশ, তখন ফের পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সাজ্জাক। যার উত্তরে পুলিশ ‘এনকাউন্টার’ করতে বাধ্য হয়। গুলি লাগে সাজ্জাকের গায়ে। জখম অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সাজাককে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।

পুলিশের ‘এনকাউন্টার’-এর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শনিবার ভবানীভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা জাভেদ সামিম। তিনি বলেন, ‘সাজ্জাক আলমকে থামতে বলা হয়েছিল। পুলিশ দেখেই সে গুলি চালাতে শুরু করে। তিন-চার রাউন্ড গুলি চালায়। বাধ্য হয়ে পুলিশও গুলি চালিয়েছিল।’ হাসপাতালে আহত পুলিশকর্মীদের দেখতে গিয়ে কার্যত দুষ্কৃতীদের হুঁশিয়ারি দেন সামিম। তিনি বলেন, ‘দুষ্কৃতীরা যদি পুলিশকে লক্ষ্য করে একটি গুলি চালায়, তা হলে পুলিশ চারটি গুলি চালাবে।’