• facebook
  • twitter
Sunday, 19 January, 2025

কিশোর ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত এসএসকেএম

কিশোর ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এসএসকেএম হাসপাতালে। শনিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল কিশোর।

এসএসকেএম হাসপাতাল। ফাইল চিত্র।

কিশোর ক্রিকেটারের রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল এসএসকেএম হাসপাতালে। শনিবার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল ওই কিশোর। রবিবার জানা যায়, এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি সে। রবিবারই মৃত্যু হয় তার। ওই কিশোরের পরিবারকে না জানিয়েই তার দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কিশোরের পরিবারের সদস্যরা। পুলিশকে দেহ নিয়ে যেতে বাধা দেন পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্ত হাতাহাতিও হয়। পরে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে মৃত নাবালকের ঠাকুমার আঙুলে আঘাত লাগে, রক্ত বের হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, খাদ্যে বিষক্রিয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ওই কিশোর। শ্বাস নিতেও সমস্যা হচ্ছিল তার।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম দেব ঘোষ। বছর ১৫ বছর। হাসনাবাদের নপাড়ার বাসিন্দা ওই কিশোর বিভিন্ন ক্লাবের জন্য ক্রিকেট খেলত। দেবের মায়ের দাবি, কলকাতার টালিগঞ্জে খেলতে আসার নাম করে শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। ৮টা থেকে আর হদিশ পাওয়া যায়নি তার। মোবাইল ফোনটি অফ করে দেওয়া হয়। এরপরই পরিবারের লোকজন হাসনাবাদ থানার দ্বারস্থ হয়। কিন্তু পুলিশ জানায়, ২৪ ঘণ্টা না কাটলে তারা কোনও ব্যবস্থা নিতে পারবে না।

রবিবার সকালে পরিবারের কাছে খবর আসে ছেলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন, সায়েন্স সিটিতে বাস থেকে নামার পর কেউ বা কারা দেবকে তুলে নিয়ে যায়। ওই কিশোরের মানিব্যাগ আর মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ, দেবকে কিছু খাওয়ানো হয়েছিল। তা থেকে বিষক্রিয়া হয়ে থাকতে পারে। দেবকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হলে প্রথমে দুটো ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়। তখনও সে সুস্থ ছিল বলে দাবি পরিবারের।

আচমকা কীভাবে ওই যুবকের মৃত্যু হল তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ। অভিযোগ, এসএসকেএমে চিকিৎসা না করে দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয় তাঁদের ছেলেকে। তবে হাসপাতালের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুরো ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, দেবের মৃত্যুর পর পরিবারকে না জানিয়েই দেহ মর্গে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। তখনই পুলিশকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন পরিবারের সদস্যরা। ছেলের মৃত্যুর সঠিক কারণ কেন তাঁদের জানানো হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা।