• facebook
  • twitter
Sunday, 19 January, 2025

তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার হত্যায় গ্রেপ্তার বিহারের ‘শুটার’

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার এবার বিহারের এক শুটারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ আসরার।

ফাইল চিত্র

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার এবার বিহারের এক শুটারকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম মহম্মদ আসরার। ২২ বছরের ওই যুবকের বিহারের পূর্ণিয়ার বাইসি থানা এলাকার বাসিন্দা। দুলালকে হত্যার জন্য যে বিহারের যে ৪ জনের দল তৈরি হয়েছিল, তাদের এক জন আসরার। শুক্রবারই মালদহে গিয়েছিলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। আর তার দু’দিন কাটতে না কাটতেই পুলিশের জালে বিহারের ‘শুটার’।

এর আগেই মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে গ্রেপ্তার হয়েছে টিঙ্কু ঘোষ, শামি আখতার, অভিজিৎ ঘোষ-সহ ৭ জন। আর মহম্মদ আসরারকে নিয়ে ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৮। পুলিশ সূত্রে খবর, ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলরকে খুনে ব্যাকআপ শুটার হিসেবে ছিল মহম্মদ আসরার। খুনের দিন বাইক চালানোর ভার ছিল আসরারের ওপর। যদি কোনওভাবে শুটাররা টার্গেট মিস করে, তাহলে এই আসরারের উপরই দায়িত্ব ছিল তৃণমূল কাউন্সিলরকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর। দুলাল খুন কাণ্ডে মালদহ জেলা পুলিশের দুটি টিম বিহার ও উত্তরপ্রদেশে গিয়েছে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত রোহন রজক ও বাবলু যাদব এখনও পলাতক। পুলিশ সূত্রে খবর, বারবার নিজেদের অবস্থান বদলাচ্ছে তারা।

২ জানুয়ারি ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়ার কাছে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল। তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুলালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর থেকেই দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার অভিযোগ করছেন, তাঁর স্বামীকে খুনের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। খুনের দিন রাতেই দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে এই ঘটনায় আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর এই ঘটনায় নরেন্দ্রনাথ ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

তৃণমূলের টাউন সভাপতি পদে ছিল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তার সহযোগীর নাম স্বপন শর্মা। স্বপন এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। বোমাবাজি, খুন, দাঙ্গা-হাঙ্গামায় তার নাম জড়িয়ে আছে। পুলিশের দাবি, স্বপন এবং নরেন্দ্রনাথ দুলাল খুনে মূল চক্রী ছিল। এই খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। মোট চার দুষ্কৃতী ওই টাকা পেয়েছিল। দুলালকে খুনের পরে দু’সপ্তাহ কেটে গেলেও খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধন্দ কাটেনি।

এর আগে মৃতের স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার বলেন, এই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত রয়েছেন। আদালতে সওয়াল-জবাবের সময়ও তৃণমূলের পুর প্রতিনিধি চৈতালী দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে খুনের পিছনে বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। এদিকে শুক্রবারই মালদহে গিয়ে দুলাল সরকারের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। মালদহে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকও সারেন তিনি। এসপি অফিসে ডেকে চৈতালি সরকারের সঙ্গে কথা বলেন রাজীব কুমার।