হাতে ব্যান্ডেজ। মাথায় ১৬টি সেলাই। হার না মানা মনােভাবকে সঙ্গী করে ফের নতুন করে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেন গেরুয়া হামলায় গুরুতর জখম ছাত্র সংসদের সভাপতি ঐশী ঘােষ। অস্ত্র হাতে নয়, বিতর্ক ও আলােচনার মাধ্যমেই দেওয়া হবে জবাব। যে লােহার রডের আঘাত আমাদের শরীরে পড়েছে, তা ফিরিয়ে দেওয়া হবে বিতর্ক ও আলােচনার মাধ্যমে। মনে রাখবেন, জেএনইউ-এর সংস্কৃতি কোনও হিংসাকে প্রশ্রয় দেয় না। আমরা গণতান্ত্রিক পথেই মােকাবিলা করব হিন্দুত্ববাদীদের আগ্রাসনের।
এখানেই থেমে থাকেননি ঐশী। বলেছেন, খুন করার উদ্দেশ্য নিয়েই হামলা চালানাে হয়েছিল। যাদের ওপর আঘাত করা হয়েছে, তাদেরকে আগে থেকেই চিহ্নিত করা হয়েছিল। পরিকল্পিতভাবেই এই হামলা। গত কয়েকদিন ধরে সংঘ পরিবারের অনুগত কিছু অধ্যাপক এই আন্দোলন ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছিলেন। রবিবার যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে স্পষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের সঙ্গে মুখােশধারী গুণ্ডাদের অশুভ আঁতাত ছিল। এই আঁতাত না থাকলে এত সহজে সংগঠিতভাবে হামলা চালানাে যায় না।
আক্রান্ত হওয়ার তালিকা ক্রমশ বাড়ছে। আক্রান্তের তালিকায় রয়েছে অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন সহ আরও বেশ কয়েকজন অধ্যাপক-অধ্যাপিকা। সবরমতি হস্টেলের দোতলা থেকে ঝাপ দিয়েছিলেন দুই পড়ুয়া। তাদের দু’জনেরই আঘাত গুরুতর। দুই ছাত্রীর পা ভেঙেছে বলে জানা যাচ্ছে। ঐশী এদিন দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি। তাঁর আর এক মুহূর্ত এই পদে থাকার অধিকার নেই। উপাচার্যের ইস্তফার দাবিতে জোরদার আন্দোলন গড়ে তােলা হবে।
এদিকে, প্রথমে ছিলেন ছাত্রী পরে হন অধ্যাপিকা। দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক। কিন্তু এবারই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে গিয়ে ভয় পাচ্ছেন তিনি। এতক্ষণ যার কথা বললাম, তিনি হলেন জেএনইউ’এর ভূগােলের অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন। রবিবার দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে তিনিও আহত হয়েছেন।