• facebook
  • twitter
Tuesday, 14 January, 2025

পণ নিয়ে অশান্তি, উত্তরপ্রদেশে দৃষ্টিহীন স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে

পণ নিয়ে লাগাতার অশান্তির জেরে দৃষ্টিহীন স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের  বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত মাসে উত্তরপ্রদেশের গোপীগঞ্জ এলাকার সরাই মিসরানি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরও ওই যুবকের স্ত্রী বেশ কয়েক দিন জীবিত ছিলেন। মহিলার পরিবারের অভিযোগ, ভয়াবহভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরও স্ত্রীকে দেখাতে কোনও চিকিৎসকও ডাকেননি অভিযুক্ত যুবক। স্ত্রীর পরিবারের তরফে তাঁর স্বামীর নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

পণ নিয়ে লাগাতার অশান্তির জেরে দৃষ্টিহীন স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল উত্তরপ্রদেশের এক যুবকের  বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত মাসে উত্তরপ্রদেশের গোপীগঞ্জ এলাকার সরাই মিসরানি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত স্বামীর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরও ওই যুবকের স্ত্রী বেশ কয়েক দিন জীবিত ছিলেন। মহিলার পরিবারের অভিযোগ, ভয়াবহভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ার পরও স্ত্রীকে দেখাতে কোনও চিকিৎসকও ডাকেননি অভিযুক্ত যুবক। স্ত্রীর পরিবারের তরফে তাঁর স্বামীর নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। 

অভিযুক্ত যুবকের নাম রাজু গৌতম। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে পণ নিয়ে অশান্তি চলছিল রাজু গৌতম নামের ওই যুবকের। অশান্তি চরমে পৌঁছলে রাজু তাঁর স্ত্রীর গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। ভয়াবহভাবে অগ্নিদগ্ধ হওয়ায় গত শনিবার মৃত্যু হয় ওই মহিলার। মহিলার পরিবারের দাবি, গত ১৩ ডিসেম্বর এই ঘটনা ঘটে। রাজু তাঁর মেয়েদের দিয়ে বনফায়ার জ্বালিয়েছিলেন। এরপর রাগের বশে সুষমাকে সেই আগুনেই ধাক্কা মেরে ফেলে দেন তিনি। প্রায় ৯০ শতাংশ দেহ পুড়ে যায় সুষমার। তাঁকে দেখাতে হাসপাতাল তো দূর অস্ত, কোনও চিকিৎসকও ডাকা হয়নি। উল্টে ওই অবস্থাতেই প্রয়াগরাজের জানকী নগরে সুষমার দিদির বাড়িতে স্ত্রীকে ছেড়ে দিয়ে আসে রাজু।   

রাজ্যের গণবিবাহ প্রকল্পে সুষমা নামে মহিলার সঙ্গে বিয়ে হয় রাজু গৌতমের, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে। যদিও রাজুর এর আগেও দুই বার বিয়ে হয়েছিল। তাঁর দুই পক্ষের দুটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরেই সুষমার কাছ থেকে পণ হিসেবে নগদ টাকা এবং বাইক দাবি করছিল রাজু। সেই নিয়ে অশান্তির সূত্রপাত। গত মাসে সেই অশান্তি চরমে পৌঁছয়। 

রাজুর স্ত্রীর পরিবার তাঁকে নিয়ে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে ছুটোছুটি করে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলেও সুষমাকে বাঁচানো যায়নি। গত শনিবার সুষমা মারা যায়। পুলিশ তাঁর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।