• facebook
  • twitter
Monday, 13 January, 2025

জয় এলেও উজ্জীবিত ফুটবল খেলেনি সবুজ মেরুন ব্রিগেড

প্রায় পঁচিশ মিনিট দশ জনের ইস্টবেঙ্গলকে পেয়েও মোহনবাগানের দৌরাত্ম্য চোখে পড়েনি। তাই অনেক সময় মনে হয়েছে এটা কী ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল।

ফাইল চিত্র

মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের জয়টা প্রত্যাশিত ছিল। সবুজ মেরুন তরী যে গতিতে এগিয়ে চলেছে তা থমকে দেওয়ার কোনও দল এই মুহূর্তে বড় ভুমিকা নেওয়া বেশ কঠিন। তা আবারও দেখতে পাওয়া গেল গুয়াহাটির মাঠে। প্রতিপক্ষ ইস্টবেঙ্গল তাদের ঘর গুছিয়ে নেওয়ার আগেই গোল হজম করে নেওয়ার ফলে আত্মবিশ্বাসে চিড় ধরে। যার ফলে পাল্টা আক্রমণ শানাতে লাল হলুদ ব্রিগেড কিছুটা দাপট হারিয়ে ফেলে। গোল প্রতিশোধ করবার জন্যে যে ইস্টবেঙ্গলকে আরও বড় ভূমিকা নেওয়ার পরিবর্তে রক্ষণাত্মক খেলা খেলে সবুজ মেরুন শিবিরকে সুবিধা করে দেয়। আসলে মোহনবাগান জেমি ম্যাকলারেন গোলে দুই মিনিটের মধ্যে এগিয়ে যাওয়ার পরে আক্রমণের গতি সেইভাবে চোখে পড়েনি। হয়তো সমর্থকরা আশা করেছিলেন আরও বড় ব্যবধানে মোহনবাগান জিতে মাঠ ছাড়বে। কিন্তু জেসন কামিন্স শুভাশিস বসু, মনবীর সিং, লিস্টন কোলাসো ও গ্রেগস্টুয়ার্টরা হতাশ করেছেন।

বলতে দ্বিধা নেই কোচ হোসে মোলিনা ডার্বি ম্যাচের জন্যে যে অঙ্ক কষে ছিলেন-তার উত্তর দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে প্রতিপক্ষ দল হিসেবে ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের সেই বিক্রম না থাকায় খেলার ফলাফলে বড় ব্যবধান চোখে পড়ল না। তারপরে প্রায় পঁচিশ মিনিট দশ জনের ইস্টবেঙ্গলকে পেয়েও মোহনবাগানের দৌরাত্ম্য চোখে পড়েনি। তাই অনেক সময় মনে হয়েছে এটা কী ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। একেবারে কলকাতা ফুটবলে কোনও সাদামাটা ম্যাচে দুই দল মাঠে নেমেছে। তারপরে রেফারির ভুল সিদ্ধান্ত খেলার গতিকে নষ্ট করেছে। যদি জেতাটা শেষ কথা হয় তাহলে নতুন করে বলার কিছু নেই। কোটি কোটি টাকা খরচ করে এই দলের খলা দেখবার জন্যে উচ্ছ্বাসে মেনে উঠতে চান না দর্শকরা।