• facebook
  • twitter
Saturday, 11 January, 2025

অসমে ১০ মাসের শিশুর শরীরে এইচএমপিভি, দেশে আক্রান্ত বেড়ে ১১

বাংলার পর এবার প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও এইচএমপি ভাইরাসের হানা। সূত্রের খবর, ১০ মাসের এক শিশুর শরীরে ওই ভাইরাস মিলেছে।

বাংলার পর এবার প্রতিবেশী রাজ্য অসমেও এইচএমপি ভাইরাসের হানা। ১০ মাসের এক শিশুর শরীরে ওই ভাইরাস মিলেছে। ২০২৫ সালে এই প্রথম অসমে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলল। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অশোক সিংহল অবশ্য জানিয়েছেন, চিন্তার কিছু নেই। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এক্ষেত্রে বলে রাখা ভালো, গোটা দেশে এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক ছড়ালেও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এটি কোনও নতুন ভাইরাস নয়। ২০০১ সালে এই ভাইরাসের খোঁজ মিলেছিল।

২০২৫ সালে কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে সর্বপ্রথম এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত শিশুর হদিশ মেলে। একে একে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। । কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুতে দু’জন, চেন্নাইতে দু’জন, কলকাতায় তিন জন, নাগপুরে এক জন, গুজরাতে এক জন এবং মুম্বইতে এক জন শিশু এইচএমপি আক্রান্ত। সেই তালিকায় যোগ হয়েছে উত্তর-পূর্বের রাজ্য অসমের নাম।

চার দিন আগে ওই শিশুটিকে অসম মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সাধারণ ঠান্ডা লাগা, সর্দি-কাশির পাশাপাশি জ্বর ছিল। চিকিৎসকদের সন্দেহ হওয়ায় এইচএমপিভি পরীক্ষা করানো হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্য সরকার এ বিষয়ে সম্পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার এইচএমপি নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করেছে, তা কার্যক্ষেত্রে প্রয়োগ করতেও আমরা প্রস্তুত।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে, এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, শিশুদের দেহে এইচএমপিভি মিললেও সেটি চিনা ভ্যারিয়েন্টের নয়। আক্রান্ত শিশুরাও সম্প্রতি বিদেশে যায়নি। ভারত-সহ বিশ্বের নানা দেশেই রয়েছে এইচএমপিভি। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা অনেকের শরীরেই এই ভাইরাস মিলেছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এইচএমপিভির উপসর্গর মধ্যেই রয়েছে – নাক দিয়ে জল পড়া, বুকে কফ জমা, শ্বাসকষ্ট, গলা ব্যথা জ্বর, গায়ে র‍্যাশ বেরনো। মূলত শিশু ও প্রবীণ ব্যক্তিদেরই এই ভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এই ভাইরাসে প্রাণহানির আশঙ্কা কম। তবে করোনার মতোই খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এই ভাইরাস। এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।