• facebook
  • twitter
Friday, 10 January, 2025

দুলাল হত্যায় ব্যবহৃত তিনটি পিস্তল উদ্ধার, মিলল ৭টি কার্তুজ-অভিযুক্তদের পোশাক

পুলিশ সূত্রে খবর, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে গ্রেপ্তার হয়েছে টিঙ্কু ঘোষ, শামি আখতার, অভিজিৎ ঘোষ-সহ ৭ জন।

ফাইল চিত্র

মালদহের তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করল পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে তিন জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অস্ত্রের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। একই সঙ্গে ২ জানুয়ারি আততায়ী যে পোশাক পরে হামলা চালিয়েছিল, সেগুলির সন্ধানও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি নাইন এমএম পিস্তল, দু’টি ওয়ান শটার পিস্তল উদ্ধার হয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও সাতটি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। এর ফলে তদন্তে কিছুটা গতি আসবে বলে মত তদন্তকারীদের।

পুলিশ সূত্রে খবর, মালদহের ইংরেজবাজার পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে গ্রেপ্তার হয়েছে টিঙ্কু ঘোষ, শামি আখতার, অভিজিৎ ঘোষ-সহ ৭ জন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে পুলিশি তদন্তে খুব একটা খুশি নন মৃতের স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার। তিনি বলেন, এই ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত রয়েছেন। ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে কি না, সেটা বলব না। দল এবং প্রশাসনের উপর বিশ্বাস রয়েছে, তারা অভিযুক্তদের বার করবে।

২ জানুয়ারি ইংরেজবাজারের ঝলঝলিয়ার কাছে খুন হন তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল। তিন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে দুলালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। ঘটনার পর থেকেই দুলালের স্ত্রী চৈতালি সরকার অভিযোগ করছেন, তাঁর স্বামীকে খুনের পিছনে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। খুনের দিন রাতেই দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে এই ঘটনায় আরও ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার এই ঘটনায় নরেন্দ্রনাথ ও স্বপনকে গ্রেপ্তার করলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

তৃণমূলের টাউন সভাপতি পদে ছিল নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। তার সহযোগীর নাম স্বপন শর্মা। স্বপন এলাকার কুখ্যাত দুষ্কৃতী হিসেবে পরিচিত। বোমাবাজি, খুন, দাঙ্গা-হাঙ্গামায় তার নাম জড়িয়ে আছে। পুলিশের দাবি, স্বপন এবং নরেন্দ্রনাথ দুলাল খুনে মূল চক্রী ছিল। এই খুনের জন্য ৫০ লক্ষ টাকার বরাত দেওয়া হয়েছিল। মোট চার দুষ্কৃতী ওই টাকা পেয়েছিল। তাদের মধ্যে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দু’জন এখনও পলাতক।