• facebook
  • twitter
Friday, 10 January, 2025

উত্তরপ্রদেশে তিন শিশু-সহ একই পরিবারের ৫ সদস্যের রহস্যমৃত্যু

উত্তর প্রদেশের মিরাটের লিসাদি গেটের সুহেল গার্ডেন কলোনিতে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।

প্রতীকী ছবি

বারাণসীতে একই পরিবারের পাঁচ জনের হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনও সমাধান করতে পারেনি পুলিশ। এরই মধ্যে উত্তর প্রদেশের আরেক শহর মিরাটের লিসাদি গেটের সুহেল গার্ডেন কলোনিতে একই পরিবারের পাঁচজন সদস্যকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে। সকলের মৃতদেহ ঘরের ভেতরে পড়ে থাকতে দেখা যায়। কে বা কারা, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এসএসপি সহ সকল অফিসার ঘটনাস্থলে যান। এছাড়া ঘটনাস্থলে যায় ক্রাইম ব্রাঞ্চ এবং ফরেনসিক দল। ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমেও সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

নিহতদের মধ্যে রয়েছেন স্বামী মইন, স্ত্রী আসমা এবং তিন সন্তান আফসা (৮), আজিজা (৪) এবং আদিবা (১)। স্বামী, স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে হত্যা করে তাদের মৃতদেহ বিছানার নীচে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। শিশুদের হত্যার পর তাদের মৃতদেহ একটি বস্তায় বেঁধে বিছানার নীচে রাখা হয়েছিল। মইন একজন মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশ বাড়ির চারপাশে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরার সাহায্যে সূত্র খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মঈনের ভাই সেলিম ওই বাড়িতে আসার পর এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি প্রকাশ পায়। সেলিম তাঁর স্ত্রীকে বাড়িতে এলে, ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলার পর জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। এরপর দরজাটি ভেঙে ফেলা হয়। ভেতরে ঢুকে সেখানকার দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান সকলে। মইন ও আসমার মৃতদেহ মাটিতে পড়ে ছিল। বিছানার নীচে শিশুদের মৃতদেহ পাওয়া যায়। সব জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল।

এর আগে ২০২৪ সালের ৫ নভেম্বর বারাণসীতে একই পরিবারের পাঁচ সদস্যকে খুন করা হয়েছিল। মা এবং তিন সন্তানকে এক বাড়িতে এবং বাবাকে অন্য বাড়িতে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ এখনও অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে পারেনি, যাঁকে তাঁরা হত্যার জন্য দোষী বলে সন্দেহ করছে। এই মামলাটি এখনও অমীমাংসিত।

এই হত্যা মামলায় স্বামী রাজেন্দ্র প্রসাদ গুপ্ত, স্ত্রী নীতু, মেয়ে গৌরাঙ্গী এবং ছেলে নমনেন্দ্র ও সুবেন্দ্রকে হত্যা করা হয়েছিল। পুলিশ রাজেন্দ্র প্রসাদের ভাইয়ের ছেলে বিশালকে হত্যার জন্য সন্দেহ করেছিল কিন্তু এখনও তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পুলিশ তার বিরুদ্ধে ক্রোক জারির আদেশ এনেছে এবং রাজেন্দ্র প্রসাদের পরিবারকে যে বাড়িতে খুন করা হয়েছিল, সেই বাড়িতেই ক্রোক নোটিশটি সাঁটিয়ে দিয়েছে।