• facebook
  • twitter
Friday, 10 January, 2025

টিকিট বিতর্ক, বাড়ছে ডার্বির উত্তেজনা

তিনি বলেন, ‘খেলাটার দায়িত্বে ওরা। ওদের হাতেই টিকিট। তবে সব সময়েই স্পোর্টসম্যান সুলভ আচরণ হওয়া উচিত। আর আমি বিশ্বাস করি না ইস্টবেঙ্গল এমন কাজ করেছে। আমরা একটা সংস্কৃতিতে বিশ্বাসকরি।’

ফাইল চিত্র

রাজ্য শীতের আমেজে মজলেও ডার্বির উত্তেজনার পারদ কিন্তু ঊর্ধমুখী। কথায় আছে, ইস্ট-মোহন দ্বৈরথ মঙ্গলগ্রহে হলেও মাঠ ভরে যাবে। আইএসএল-এর দ্বিতীয় ডার্বি ঘিরে তৈরি হয়েছে প্রশ্নচিহ্ন। গত কয়েকদিন ধরে টুটু বসু আর দেবব্রত সরকারের বাকযুদ্ধ বড়ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়েছে, বৃহস্পতিবারের টিকিট বন্টন বিতর্ক তাতে ঘি ঢালল।

এদিন সমাজমাধ্যমে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকরা। তাঁদের বক্তব্য, মোহনবাগান ইচ্ছা করে নিজেদের সমর্থকদের জন্য বেশি টিকিট বরাদ্দ করেছে। এই নিয়ে দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে বাক্য লড়াই জমজমাট।

এই বিষয়ে মোহন সচিব দেবাশিস দত্তর সাফ কথা,’গত ডার্বির ঘটনা আপনারা সবাই জানেন। কত টিকিট আমরা পেয়েছিলাম আপনারা দেখেছেন। আমি এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না। তাছাড়া গুয়াহাটির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামটা ছোট। ওখানে বেশি লোক ধরে না। ভাবখানা, দেখ কেমন দিলাম! অবশ্য পাল্টা দিতে ছাড়েননি ইস্টবেঙ্গল সহ সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত।

তিনি বলেন, ‘খেলাটার দায়িত্বে ওরা। ওদের হাতেই টিকিট। তবে সব সময়েই স্পোর্টসম্যান সুলভ আচরণ হওয়া উচিত। আর আমি বিশ্বাস করি না ইস্টবেঙ্গল এমন কাজ করেছে। আমরা একটা সংস্কৃতিতে বিশ্বাসকরি।’

লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে ক্ষোভ বিস্তর, গড়িয়া ‘লাল-হলুদ পরিবার’ ফ্যানক্লাবের সদস্য শুভদীপ মুখোপাধ্যায় বেশ বিরক্ত। বললেন, ‘দেখুন ওরা ভেন্যু নিয়ে অযথা সময় নষ্ট করল। এখন টিকিট নিয়ে ঝামেলা করছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও যাওয়া হবে না আমার। ‘ অন্যদিকে নাকতলা নিবাসী মোহনবাগান সমর্থক তরুণ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘ওরা যেমন করবে তেমনই পাল্টা দেওয়া হবে। আমাদের তো আগের ডার্বিতে কম টিকিট দিয়েছিল।’

সব মিলিয়ে মাঠের বাইরের খেলা শুরু হয়েগেছে। রেফারির বাঁশির আগেই।