• facebook
  • twitter
Friday, 10 January, 2025

এবারের বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে বিশেষভাবে গুরুত্ব সিনেমা ও পর্যটনে

বৈঠকে অমিত মিত্রের পাশাপাশি মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত একাধিক কমিটির কো-চেয়ারম্যান, বণিকসভার প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা।

ফাইল চিত্র

হাতে আর মাত্র মাসখানেক সময়। ফেব্রুয়ারির ৫ ও ৬ তারিখ রাজ্যে শুরু হতে চলেছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। এই সম্মেলনে দেশের শিল্পপতিদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন বহু বিদেশী বিনোয়োগকারী। অমিত মিত্রের উপস্থিতিতে বুধবার সেটা নিয়েই প্রস্তুতি বৈঠক সেরে নিলেন মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ।আলোচনায় বিশেষভাবে গুরুত্ব পায় এবার কোন খাতে কত পরিমাণ বরাদ্দের সম্ভাবনা রয়েছে। সেইমতো এখন থেকেই প্রত্যেক দপ্তরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিষয়টি সুনির্দিষ্ট করার জন্য।

আগামী ১৫ জানুয়ারি এই সংক্রান্ত বিস্তারিত তালিকা তৈরি করে নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে মুখ্যমন্ত্রী সম্মেলনের সময় সম্ভাব্য ক্ষেত্রগুলি শিল্পপতি বা বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।

দুই দিনের এই বাণিজ্য সম্মেলনে বক্তার তালিকায় কে কে থাকবেন, কোন কোন ইভেন্ট হবে, প্রতিটি দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সেই সময়সূচিও ঠিক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি বিগত দিনে রাজ্যে যেসব বিনিয়োগ প্রস্তাবগুলি এসেছে, সেগুলি কতটা বাস্তবায়ন হয়েছে, সেটাও খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার একটি বিস্তারিত তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। এদিনের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে বাণিজ্য সম্মেলনের প্রচারের রোড ম্যাপ ও প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নিয়েও আলোচনা হয়।

প্রসঙ্গত গতবার বাণিজ্য সম্মেলনে এমএসএমই বা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পকে সামনে রাখা হয়েছিল। এ বার পর্যটন এবং সিনেমাক্ষেত্রকে বিশেষভাবে নজরে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি, সব ধরনের শিল্পের ওপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে। আগেই স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বড় শিল্প, উৎপাদন ক্ষেত্র, বিদ্যুৎ, পরিবহণ, পরিকাঠামো, পর্যটন, সিনেমা ইত্যাদি ক্ষেত্রগুলিতে একেকটি করে কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছিল। এদিনের বৈঠকে সেই কমিটিগুলোর থেকে রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে।

এদিকে তাজপুর বন্দর গড়তে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে রাজ্য। এজন্য পুনরায় গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবিষয়ে আইনি পরামর্শ গ্রহণের চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে। ফলে এ বিষয়ে আগামী দিনে রাজ্য কী পদক্ষেপ করে সেদিকেই নজর রয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলের।

এদিনকার বৈঠকে অমিত মিত্রের পাশাপাশি মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের বাণিজ্য সংক্রান্ত একাধিক কমিটির কো-চেয়ারম্যান, বণিকসভার প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট সমস্ত দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকরা। ছিলেন একাধিক শিল্পপতি। যেহেতু প্রতিবছর ভারী ও ক্ষুদ্র শিল্পের পাশাপাশি পর্যটনকে বাণিজ্য সম্মেলনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেজন্য এবারের সম্মেলনে আলাদা করে কোনও ক্ষেত্রকে ‘থিম’ হিসেবে তুলে ধরা হচ্ছে না। সামগ্রিকভাবে রাজ্যে শিল্পায়নের আবহকেই বিশ্বের সামনে তুলে ধরা হবে।