• facebook
  • twitter
Friday, 10 January, 2025

‘বাংলার বাড়ি’তে নিজস্ব লোগো সাঁটানোর অনুমতি রাজ্যের, পাঠানো হয়েছে এসওপি

একই সঙ্গে উপভোক্তাদের নির্মল বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরের সঙ্গে কল, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের টাকায় জল ও এসইডিসিএল-এর টাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার পথ খোলা রয়েছে।

ফাইল চিত্র

বাংলার টাকায় বাংলার বাড়ি। তাহলে লোগোটা কেন নয়? অবশেষে সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে চলেছে নবান্ন। বাংলার আবাস যোজনায় নির্মিত বাড়িতে নিজস্ব ‘লোগো’ বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। খুব শীঘ্রই জেলা শাসকদের কাছে এই প্রকল্পের লোগো পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের পাঠানো স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিওর (এসওপি)। এব্যাপারে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব জেলাগুলির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। সেই চিঠিতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা সম্বলিত বাংলার আবাস যোজনা বা ‘বাংলার বাড়ি’ (গ্রামীণ)-এর জন্য তৈরির এসওপি পাঠানো হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রের খবর।

নির্দেশিকায় জেলাশাসকদের স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, বাড়ি নির্মাণের সময় উপভোক্তারা যাতে প্রতারিত না হয়। অর্থাৎ বাংলার আবাস যোজনায় বাড়ি প্রাপক এইসব গরিব মানুষ যাতে ন্যায্যমূল্যে সিমেন্ট, ইট, লোহা-সহ নির্মাণ সামগ্রী পেতে পারে, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এবিষয়ে ডিলারদের সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট বিডিওদের। যাতে নির্মাণ সামগ্রীর কাঁচামালের গুণমান সঠিক থাকে। এই প্রকল্পে তাঁদের ন্যূনতম পঁচিশ বর্গমিটারের ঘর নির্মাণের কাজ সর্বোচ্চ এক বছর সময়সীমার মধ্যে শেষ করতে হবে। এছাড়া ভূমিহীন উপভোক্তাদের জমি পাট্টা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য জেলা ভূমিসংস্কার আধিকারিককে সরকারি জমি চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে।

সেই সঙ্গে সঙ্গে নির্মল বাংলা প্রকল্প, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর ও এসইডিসিএল-এর মাধ্যমে শৌচালয় নির্মাণ, জল ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ একই সঙ্গে উপভোক্তাদের নির্মল বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরের সঙ্গে কল, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের টাকায় জল ও এসইডিসিএল-এর টাকায় বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার পথ খোলা রয়েছে।

পাশাপাশি, ওই পরিবারকে পঞ্চায়েতের আনন্দধারা প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করতে বলা হয়েছে। আবাস যোজনার এই গোটা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর সমীক্ষকরা সরেজমিনে গিয়ে তা খতিয়ে দেখবেন। অর্থাৎ নবান্নের নির্দেশ অনুযায়ী, সমীক্ষকরা নির্মিত আবাসস্থলে গিয়ে ছবি তুলবে এবং জিওট্যাগ লাগাবে। এভাবেই তাঁরা বাড়ি তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারিভাবে ঘোষণা করবে। এরপর ব্লক আধিকারিকরা বাড়িটির অনুমোদন দেবে।