দু’দিনের কর্মসূচিতে পুরুলিয়া আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার রাঁচিতে হেমন্ত সােরেনের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মমতা। সেখান থেকে বিকেলে কপ্টারে করে রাঁচির পাশ্ববর্তী জেলা পুরুলিয়ায় আসবেন তিনি। শহরের উপকণ্ঠে নতুন পুলিশ লাইনে প্রশাসনিক সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সভায় উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে মুখ্যসচিব সহ উচ্চ পদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিকদের।
এরপর সার্কিট হাউসে রাত্রিবাস করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পরের দিন বেলা সাড়ে এগারােটা নাগাদ পুরুলিয়া শহরের ভিক্টোরিয়া স্কুল মােড় থেকে সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করবার কথা রয়েছে তাঁর। পুরুলিয়া শহর পরিক্রমা করে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে একটি পথসভা করার কথাও রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এই সফর ঘিরে ইতিমধ্যেই যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জেলায়। হেলিকপ্টারের ট্রায়ালও করা হয়েছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে জেলায়।
উল্লেখ্য মুখ্যমন্ত্রীর এই দু’দিনের পুরুলিয়া সফর নানা কারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। লােকসভা নির্বাচনের পর এটিই তাঁর প্রথম পুরুলিয়া সফর। এই নির্বাচনে পুরুলিয়া লােকসভা আসনটি বিপুল ভােটে জিতেছিল বিজেপি। শুধু তাই নয়, বলতে গেলে পুরুলিয়া জেলার মােট ন’টি বিধানসভা আসনের মধ্যেও আটটিতেই ভরাডুবি হয়েছিল তৃণমূলের। শুধুমাত্র মানবাজার বিধানসভায় বিজেপির থেকে বেশি ভােট পেয়ে মুখ রক্ষা করতে সক্ষম হয় দল।
ঘাসফুলের গড় বলে পরিচিত পুরুলিয়ায় এভাবে বিপর্যয় প্রচণ্ড চিন্তায় ফেলে দেয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। যুদ্ধকালীন ভিত্তিতে পুরুলিয়ার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় শুভেন্দু অধিকারী এবং মলয় ঘটকের হাতে। শেষ ছ’মাসে অবশ্য নিজেদের পালে কিছুটা হাওয়া নিয়ে আসতে সমর্থ হয়েছে তৃণমূল।
এনআরসি ইস্যুকে সামনে রেখে আপাতত এখানে পুরনাে শক্তি ফিরে পেতে মরিয়া দল। মুখ্যমন্ত্রী এখানে এসে দলের অবস্থা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলােচনা করবেন তা নিয়ে নিশ্চিত দলীয় নেতৃত্ব। সব তথ্যই তাঁর জন্য তৈরি করে রাখা হয়েছে। এনআরসি ও সিএবি-র বিরােধিতা করে যে পদযাত্রা তিনি করবেন তাতে রেকর্ড ভিড় করানাের জন্য এখন রাত দিন এক করে প্রচার চালাচ্ছেন দলীয় নেতৃত্ব।