• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আকাশ পরিষ্কার হয়ে শীতের দাপুটে ব্যাটিং বার্তা : হাওয়া অফিস

বৃহস্পতিবার গােটা দিনভরই ছিল আকাশের মুখভার। শহরে কোথাও হাল্কা ঝিরঝিরে বৃষ্টির। সাথেই জোলাে হাওয়ায় শীতের কম্পন বেশ ভালাে অনুভূত হয়।

২৮ থেকে পর পর দু'দিন তাপমাত্রার পারদ নিম্নগামী হবে বলে জানায় আবহাওয়া দফতর। (Photo: Kuntal Chakrabarty/IANS)

বৃহস্পতিবার গােটা দিনভরই ছিল আকাশের মুখভার। শহরে কোথাও হাল্কা ঝিরঝিরে বৃষ্টির। সাথেই জোলাে হাওয়ায় শীতের কম্পন বেশ ভালাে অনুভূত হয়। আকাশ মেঘে ঢাকা থাকায় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা থেকেও বঞ্চিত হয়েছে শহরবাসী। তবে উত্তর কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার কিছু অংশে মাঝেমাঝে মেঘে সরে যাওয়ায় আংশিক দেখার সুযােগ পেয়েছেন ওই সব অঞ্চলের বাসিন্দারা।

এদিন সন্ধে পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে অতিহাল্কা বারিপতন হয়। তবে তাতে শীতের উৎসবে এতটুকু ভাটা পড়েনি। স্কুল কলেজ ছুটি থাকায় বড়দিনের রেশ নিয়েই শহরের বেশ কিছু দর্শনীয় স্থানে সকাল থেকেই ছাতা হতে টিকিটের লাইনে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে উৎসাহী মানুষকে। নিম্নচাপের কারণে বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমান বেশি থাকায় এবং আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় শীতের প্রকোপ সেইভাবে ছিল না বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর।

এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির আশেপাশে। তবে শুক্রবার বিকেলের পর থেকে আবহাওয়ায় উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের কর্তারা। মেঘের চাদর কেটে শনিবার রােদের পরশ পাওয়ার আশার বানী শুনিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

ডেপুটি ডিরেক্টর ডঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ার কারণে হাল্কা বৃষ্টিপাত হলেও শুক্রবার বিকেল থেকেই আবহাওয়ায় উন্নতি হবে। এই ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ায় রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল ও দক্ষিণবঙ্গের ওপর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি হয়। একই সঙ্গে আবার উত্তরবঙ্গ থেকে শুষ্ক শীতল বাতাস দক্ষিণবঙ্গের দিকে ধাবিত হওয়ায় এই অঞ্চলে একটি কনভার্সান জোন তৈরি হয়েছে। আদ্রতা ও শুষ্কতা একই সঙ্গে মিলিত হয়ে এই পরিবর্ত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যার জেরে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায় এদিন হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়। মূলত ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দুর্গাপুর অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে।

তবে এই পরিস্থিতি অচিরেই কেটে যাচ্ছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার পর থেকেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। একই সঙ্গে তাপমাত্রাও কমবে বলে জানিয়েছেন আলিপুর আবহাওয়া দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর ডঃ সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানান, শনিবার থেকেই রােদ ঝলমলে আকাশ দেখতে পাবে শহর ও জেলার বাসিন্দারা। সঙ্গেই পারা পতনের সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন হাওয়া অফিসের ওই কর্তা।

পরিষ্কার আকাশ থাকার কারণেই ২৮ থেকে পর পর দু’দিন তাপমাত্রার পারদ নিম্নগামী হবে বলে জানান তিনি। রাতের দিকে জাঁকিয়ে শীত পড়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এই দুই দিন শীতের ওম গায়ে মেখে নিলেও আগামী সপ্তাহে ৩০ ডিসেম্বর থেকে দুই থেকে তিনদিন ফের রাজ্যের কিছু জায়গায় হাল্কা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সাথে ফের উষ্ণতার পারদও উর্ধ্বমুখি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেও জানান আবহাওয়া দফতরের কর্তা।