সবুজ মেরুন শিবির এখন দারুন ফর্মে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ এফসি-কে আক্রমণের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস ৩-০ গোলে জয় তুলে নেয়। এই মুহূর্তে মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনার কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ আগামী ডার্বি ম্যাচ। খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করবার জন্য তিনি সবসময় এগিয়ে আসছেন। তিনি বলছেন চোট আঘাত খেলার মধ্যে থাকবেই। তাই বলে হতাশ হবার কোনও কারণ নেই। খেলোয়াড়দের সামনে একটাই পাখির চোখ প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে জয় তুলে আনা। তার জন্য যেকোনও কৌশলে ফুটবল যুদ্ধে বাজিমাৎ করতে হবে।
এটা ঠিক মোহনবাগান শিবিরে বেশ কয়েকজন ফুটবলার চোটের কারণে মাঠের বাইরে রয়েছেন। তারাও কিন্তু পুরো দলকে অনুপ্রাণিত করছেন এটাইতো বড়ো প্রাপ্তি। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উপরে কোচ ভরসা রাখছেন ডার্বি ম্যাচ জেতার জন্য। চোট আঘাত থাকা সত্যেও মোহনবাগান দল যেভাবে হায়দরাবাদকে কোনঠাসা করে দিয়ে ম্যাচ বের করে এনেছেন ফুটবলাররা তার জন্য কুর্নিশ জানাতে হবে।
এই ম্যাচ জেতার পরেই কলকাতা ডার্বির গ্রহে ঢুকে পড়ল মোহনবাগান শিবির। হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে জয়ের আত্মবিশ্বাস যে আসন্ন কলকাতা ডার্বিতেও তাদের শক্তি দেবে তা নতুন করে বলার নেই।
কোচের অভিমত, ডার্বি অন্য ধরনের ম্যাচ। ফুটবলার, সমর্থক সবার কাছেই অন্য রকমের। ইস্টবেঙ্গল যেভাবে খেলছে তাতে আমাদের কাছে ম্যাচটা বেশ কঠিন হবে। ডার্বি ম্যাচ সব সময় স্নায়ুর যুদ্ধ। কোনও দলই চাইবে না যুদ্ধক্ষেত্রে হারতে। তাই প্রয়োজন সাহসিকতা এবং আগ্রাসী মনোভাব। তিনি মনে করছেন আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই চোট পাওয়া ফুটবলাররা ফিট হয়ে অনুশীলনে ফিরবেন।
তবে ইস্টবেঙ্গলও তৈরি হচ্ছে ডার্বি ম্যাচে তার চির প্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জিততে। লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজো ইতিমধ্যে খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েছেন।