• facebook
  • twitter
Saturday, 4 January, 2025

মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ফিরছেন বাংলাদেশে আটক মৎস্যজীবীরা

এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের কথা জানা গিয়েছিলো। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ভারতীয় ওই ৯৫ জন ভারতীয় মৎসজীবী গ্রেপ্তারের পর তাঁদের বিরুদ্ধে ২০২০ অনুসারে যে মামলা হয়েছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

ফাইল চিত্র

অবশেষে ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবীকে মুক্তি দিতে চলেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে পড়ায় আড়াই মাস আগে কাকদ্বীপের ছ’টি ট্রলারকে আটক করেছিল বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। ৯৫ জন মৎস্যজীবী ছিলেন ট্রলারগুলিতে। আটক করার পরই তাঁদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। মৎস্যজীবীদের গ্রেপ্তারি নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রয়োজনে আইনি সাহায্য দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে মুক্তি পেতে চলেছেন ৯৫ জন ভারতীয় মৎস্যজীবী।

গত বৃহস্পতিবারই এই নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের কথা জানা গিয়েছিলো। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব লুৎফুন নাহার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান, ভারতীয় ওই ৯৫ জন ভারতীয় মৎসজীবী গ্রেপ্তারের পর তাঁদের বিরুদ্ধে ২০২০ অনুসারে যে মামলা হয়েছিল, তা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সেই সঙ্গে ছ’টি ট্রলার ভারতে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা।

এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগকে কোনোভাবেই অস্বীকার করা যায় না। বাংলাদেশে ৯৫ জন মৎস্যজীবী গ্রেপ্তারের পরেই তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে তৎপর হন। কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করে ওই মৎস্যজীবীদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় অবশেষে নিজেদের পরিবারের কাছে ফিরতে চলেছেন ৯৫ জন মৎস্যজীবী। অন্যদিকে পাল্টা সৌজন্য হিসেবে ভারতে আটকে থাকা ৯০ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকেও ছেড়ে দেওয়ার দেওয়া হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে।