• facebook
  • twitter
Friday, 19 December, 2025

সিএএ নিয়ে বিজেপির তুঘলকি আচরণে এনডিএ শরিকরাও ক্ষুব্ধ

সিএএ নিয়ে শাসক জোটের মধ্যেই কোনও আলােচনা হয়নি বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করল পুরানাে শরিক শিরােমণি অকালি দল।

নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহ। (File Photo: IANS)

সিএএ নিয়ে শাসক জোটের মধ্যেই কোনও আলােচনা হয়নি বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করল পুরানাে শরিক শিরােমণি অকালি দল। এনডিএ শরিক শিরােমণি অকালি দলের (এসএডি) নেতা ও সাংসদ নরেশ গুজরাল জানিয়েছেন, সিএএ চালু করার বিষয়ে বিজেপি শরিকদের সঙ্গে কোনও আলােচনাই করেনি। এজন্য এনডিএর অধিকাংশ শরিকই বিরক্ত। এনিয়ে বিজেপিকে সতর্ক করার পাশাপাশি অটলবিহারী বাজপেয়ীর ‘জোট ধর্ম’ পালনের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দ্রকুমার গুজরালের পুত্র নরেশ গুজরাল। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় বিজেপি শরিকদের অবজ্ঞা করছে বলে তিনি অভিযােগ করেছেন।

নাগরিকত্ব আইন পাশ হয়ে যাওয়ার পরও দেশজুড়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে বিজেপি কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছে। এর ওপর অতি সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডের ভােটে গাে হারা হেরে তাদের গলার স্বর কিছুটা হলেও খাদে নেমেছে। নরেশ গুজরাল জানিয়েছেন, সিএএ নিয়ে বিজেপি শরিকদের কোনও মতামত নেওয়ারও প্রয়ােজন বােধ করেনি, আলােচনা তাে দূর অস্ত। এতে এনডিএ শরিকরা যে ক্ষুব্ধ তা বলাই বাহুল্য। কারণ তাদেরও বিরােধীদের বিক্ষোভের মােকাবিলা করতে হচ্ছে।

Advertisement

নরেশ গুজরাল জানিয়েছেন, বাজপেয়ীজির সময়ে কুড়িটি দলের জোটের কোনও সদস্যই অখুশি ছিলেন না। কারণ তাদের প্রত্যেককেই সমান মর্যাদা দেওয়া হত। বাজপেয়ীজি সকল সময়েই আলােচনার দরজা খােলা রাখতেন। এমনকী বর্তমান নেতৃত্বের মধ্যে অরুণ জেটলিও আলােচনার বিষয়ে গুরুত্ব দিতেন। তাঁর মৃত্যুর পর সে রাস্তাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

লােকসভায় এনডিএ শরিক জোটের আসন সংখ্যা ৩৫৩, এর মধ্যে বিজেপি’র এককভাবে ৩০৩ আসন রয়েছে। লােকসভায় শিরােমণি অকালি দলের সাংসদ রয়েছেন দু’জন। শিরােমণি অকালি দল এখন এনডিএ তে থাকবে কিনা সেবিষয়েই চিন্তাভাবনা শুরু করেছে। তিনি জানান, শরিকদের অনেকেই বিজেপির এমন তুঘলকি ব্যবহারে খুশি নয়। এখন সরকার কি করে তা দেখার। সিএএ তে সংশােধনী জরুরি বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য মাত্র কয়েকদিন আগেই পুরানাে শরিক শিবসেনার সঙ্গে মতপার্থক্য হওয়ায় দীর্ঘদিনের বন্ধুকে হারিয়েছে বিজেপি। মােদি-শাহ’র কবল মুক্ত হয়ে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে উদ্ধব ঠাকরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিরােধী শিবির ও নাগরিক সমাজের বিক্ষোভের ফলে কেন্দ্রীয় সরকার তেমন স্বস্তিতে নেই। আর সেই চাপ আরও বাড়িয়ে দিল শিরােমণি অকালি দল।

Advertisement