নয়া নাগরিকত্ব সংশােধনী আইনের বিরােধিতায় সরব অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা। তার মধ্যে সবার আগে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই তালিকায় স্পষ্টত নাম না লেখালেও বিজেপি’র পুরনাে শরিক শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে জানিয়ে দিয়েছেন, আমি জানতে চাই পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে সংখ্যালঘুদের ভারতের নাগরিকত্ব দিয়ে কোথায় পুনর্বাসন দেবে মােদি সরকার। আমার তাে মনে হয় কেন্দ্রের নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে।
আর এবার বিজেপি সরকারের নাম না করে আক্রমণে নামলেন শিবসেনা প্রভাবশালী নেতা সঞ্জয় রাউত। আজ দিল্লির রামলীলা ময়দানে বিরােধীদের নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। আর আজই নাম না করে সঞ্জয় রাউত তােপ দেগেছেন, ভারত কারও বাপের দেশ নয়। এখানেই থেমে থাকেননি রাউত। লিখেছেন, গুবার রক্ত মিশে আছে এই দেশের মাটিতে। কারও বাপে দেশ নাকি ভারত? অর্থাৎ বিজেপি-র ধর্মীয় বিভাজনের রাজনীতিকেই নিশানা করেছেন শিবসেনার এই নেতা।
মহারাষ্ট্রের নতুন সরকার গঠন নিয়ে টালবাহানা কিছু কম হয়নি। বিজেপি’র জোটসঙ্গী শিবসেনা শেষপর্যন্ত কংগ্রেস-এনসিপি’র সঙ্গে জোট করেছে। তারপরেও অবশ্য সংসদে নাগরিকত্ব বিলে তাদের সমর্থন জানিয়েছে। এরপরেই সমালােচনা শুরু হয় দিকে দিকে। কংগ্রেসের জোটসঙ্গী, অথচ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জলঘােলা হয়। এই পরিস্থিতিতে নাগরিকত্ব বিলে লােকসভায় সমর্থন করলেও রাজ্যসভায় ওয়াকআউট করেন শিবসেনা সাংসদরা। তাতে অবশ্য ঘুরপথে বিজেপি’রই সুবিধে হয়েছে।