• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

বিহারে বিরোধীদের বনধে ব্যাপক ভাঙচুর

নাগরিক সংশোধনী আইন ও এনআরসি চালু করার প্রতিবাদে শনিবার বিরােধী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ডাকা বনধে ব্যাপক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে।

আরজেডি সমর্থরা এনআরসি'র প্রতিবাদে রেল অবরোধ করে। (Photo: IANS)

নাগরিক সংশোধনী আইন ও এনআরসি চালু করার প্রতিবাদে শনিবার বিরােধী রাষ্ট্রীয় জনতা দলের ডাকা বনধে ব্যাপক হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে। এছাড়া রেল, সড়ক অবরােধের ফলে গােটা রাজ্যে জনজীবন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের কর্মীরা ভোর রাত থেকেই বড় বড় লাঠিতে পার্টির ফ্ল্যাগ নিয়ে হাজির হয়ে যায় প্রতিটি জেলা, শহর এবং মহকুমা শহরের রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে।

অটোরিক্সা, সাইকেল রিক্সা, ট্যাক্সির ওপরও হামলা চালায় বনধ সমর্থকরা। বহু ট্যাক্সি, অটোর সামনের কাচ ভেঙে দেয় বনধ সমর্থকরা। সাইকেল রিক্সা ভাঙচুর করা হয় ভাগরপুর, মজফফরপুর এবং পাটনার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। বিভিন্ন স্থানে দশ পনেরাে বছরের শিশু কিশােরদেরও বনধের সমর্থনে শুধু একটা প্যান্ট সম্বল করে লাঠি নিয়ে সড়ক, রেল অবরােধে শামিল হতে দেখা গিয়েছে।

বিহার বিধানসভার বিরােধী দলের নেতা তেজস্বী এবং আরজেডি সুপ্রিমাে লালু প্রসাদ যাদব বনধের সমর্থনে বীরচাঁদ প্যাটেল মার্গ থেকে ডাক বাংলাে মােড় পর্যন্ত এক বিশাল মিছিলের নেতৃত্ব দেন। এর ফলে যান চলাচল একেবারে স্তব্ধ হয়ে পড়ে। পাটনার বিভিন্ন স্থানে লালুর ঘনিষ্ঠ সমর্থকরা জাতীয় স্বার্থে বনধ সফল করার জন্য গােলাপ দিয়ে গান্ধিগিরি দেখান। আরজেডি, কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় লােক সমতা পার্টির ডাকে পাটনা শহরে দোকানপাট সবই বন্ধ রাখা হয়।

আরএলএসপি প্রধান এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী উপেন্দ্র খুশওয়া পাটনায় সম্মিলিতভাবে বনধের সমর্থনে পদযাত্রায় অংশ নেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এনআরসি রাজ্যে চালু না করার আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও একই ইস্যুতে বনধ ডাকার কোনও যৌক্তিকতা আছে কিনা জিজ্ঞাসা করা হলে, খুশওয়া জানান, নীতিশ কুমারের সম্মতি ছিল নাগরিক সংশােধনী আইনে, তাই রাজ্য সরকারের প্রতিশ্রুতির কোনও মূল্য নেই। আমরা বিরােধীতা করছি ওই আইন রাজ্যে চালু না করার জন্যই।

আরজেডির অন্য নেতা রঘুবংশ প্রসাদ সিং বনধের সমর্থনে অন্যত্র এক মিছিলে নেতৃত্ব দেন এবং বলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে রাজ্যের সকল রাজনৈতিক দলই এই বনধের সমর্থন করছে। তিনি বলেন, নীতিশ কুমারের আশ্বাস মুল্যহীন কারণ তিনিই ক্যাব সমর্থন করেছিলেন।

বনধের ফলে পূর্ব মধ্য রেলের পক্ষে এক বিবৃতিতে জানানাে হয়েছে, অন্তত সাতটি ট্রেন বাতিল করতে হয়েছে। মজফফরপুরের গুরুত্বপূর্ণ রেললাইন ও সড়ক পথে আরজেডি ও কংগ্রেস দলের কর্মী সমর্থকরা অবরােধ করেন বনধ সফল করতে। রাজ্যের ভাগলপুর, মুঙ্গের, বেগুসরাই, জেহানাবাদ এবং নওয়াডা থেকেও যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ থাকার খবর পাওয়া যায়। আরায় পুলিশের সঙ্গে বনধ সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। শনিবার হওয়ায় রাজ্যের বিদ্যালয়, অফিস এবং অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল।