• facebook
  • twitter
Friday, 27 December, 2024

আসন্ন বাজেট নিয়ে বৈঠক প্রধানমন্ত্রীর

নীতি আয়োগের দপ্তরে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে বাজেটের বিষয়ে পরামর্শ করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে জানা গেছে, তরুণদের কর্মসংস্থানের পরিসর কীভাবে বাড়ানো যায় সেই নিয়ে অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য রাখতে বলেন তিনি।

ফাইল চিত্র

কর্মসংস্থান আর আর্থিক সমৃদ্ধি। আসন্ন বাজেটে এটাই এখন মোদী সরকারের প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি সংসদে বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। মোদী সরকারের আমলে প্রতি বাজেটেই একটা প্রশ্ন বারবার উঠে এসেছে, কর্মসংস্থান আর বেকারত্ব। এই বেকারত্ব যে একটা বড় সমস্যা, সেটা প্রধানমন্ত্রী যে প্রকারান্তরে মেনে নিয়েছেন, এই বৈঠকে তাঁর উপস্থিতিতে তা পরিস্কার। দেশে কীভাবে আরও কর্মসংস্থান বাড়ানোর সুযোগ তৈরি করা যায়, এই বৈঠকে সে বিষয়েও অর্থনীতি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও।

নীতি আয়োগের দপ্তরে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে বাজেটের বিষয়ে পরামর্শ করেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে জানা গেছে, তরুণদের কর্মসংস্থানের পরিসর কীভাবে বাড়ানো যায় সেই নিয়ে অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য রাখতে বলেন তিনি। অর্থনীতিবিদরাও নিজেদের মতামত জানিয়েছেন।এমনিতে বেকারত্ব নিয়ে রোজই বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে সরকারকে। সমালোচনার মুখে মোদী সোমবার দাবি করেছিলেন, গত দেড় বছরে ১০ লক্ষ সরকারি চাকরি দিয়ে তাঁর সরকার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে। কিন্তু মুখে বলা আর কাজে করা যে আকাশপাতাল পার্থক্য, প্রধানমন্ত্রীর এ দিনের বৈঠক থেকেই তা স্পষ্ট।

শুধুমাত্র কর্মসংস্থানই নয়, আর্থিক বৃদ্ধির দিকটাও মাথায় রাখছে মোদী সরকার। কারণ চলতি অর্থ বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে আর্থিক বৃদ্ধির মাত্র ৫.৪ শতাংশে নেমে এসেছে। যা গত ২১ মাসে সর্বনিম্ন। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তাও বাজেটের আগে মোদী সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে।

পাশাপাশি, এদিনের বৈঠকে ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারত কীভাবে উন্নত দেশ হিসেবে লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবে সে বিষয়ে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে নির্দিষ্ট রূপরেখা দিতে বলেন বলে খবর। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে মোদী দেশকে ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকশিত ভারত’ লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য নানা পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন। তা নিয়ে এদিনের বৈঠকে বিশদে আলোচনাও হয়েছে। পাশাপাশি ১৫ জন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কৃষি অর্থনীতিবিদ অশোক গুলাটি-সহ সুরজিৎ ভাল্লা, ডি কে যোশী সহ একাধিক বিশিষ্টজন এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।