এনআরসি আবার কি? প্রশ্ন বিজেপি জোটসঙ্গী নীতিশ কুমারের। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিহারে কোনও এনআরসি বা নাগরিক সংশােধনী আইন বলবৎ হতে দেবেন না।
নীতিশ কুমারের সহযােগী নেতা প্রশান্ত কিশাের জানিয়েছেন, বিহারে কোনও এনআরসি প্রয়ােগের কোনও পরিকল্পনা নেই নীতিশ সরকারের। প্রশান্ত কিশাের জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে নতুন নাগরিক আইন নিয়ে আশাবাদী ছিলেন এবং তার সমর্থনও করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে এনআরসি যুক্ত হওয়ায় তা দেশের মানুষের কাছে এক আতঙ্কের বার্তা নিয়ে এসেছে।
বিজেপির অন্য শরিক অকালি দলও এনআরসি এবং নাগরিক সংশােধনী আইন নিয়ে তাদের বিরােধিতার কথা জানিয়েছে। অকালি দল মুসলিমদেরও নাগরিক বিলে যুক্ত করার আবেদন জানিয়েছে। অকালি দলের নেতা সুখবীর বাদল জানিয়েছেন, দেশের মানুষের সামগ্রিক উন্নতির কথাই বলে অকালি দল, কেবল শিখদেরই নয়।
অন্যদিকে অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু করতে দেবেন না।
বিরােধীদের আশঙ্কা মুসলিমদের চিহ্নিত করার জন্যই এনআরসি চালু করার ওপর জোর দিচ্ছে বিজেপি সরকার। নাগরিক আইনের ফলে প্রতিবেশী দেশগুলি থেকে শরণার্থী হিসেবে ২০১৫ সালের আগে যে সকল অমুসলিম ভারতে এসেছেন তারা সহজেই নাগরিকত্ব পাবেন। এর ফলে মুসলিম শরণার্থীরা কোনও নথি দেখাতে না পারলে তাদের ভবিষ্যৎ কি হবে তা নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
ইতিমধ্যেই অসমে প্রকাশিত এনআরসি তালিকা থেকে ১৯ লাখ মানুষ বাদ পড়েছেন এবং তাদের অধিকাংশই হিন্দু। ফলে শাসক বিজেপির মধ্যেই এখন ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়েছে। তারা প্রকাশ্যেই প্রকাশিত তালিকার বিরুদ্ধে বিক্ষেভ শুরু হয়েছে।