দু’লক্ষ টাকা প্রতি মাসে না দিলে বালি খাদান চালানো যাবে না। এই হুমকি দিয়ে রীতিমতো হামলা চালানো হল বৈধ বালি ঘাটের ইজারাদারের ম্যানেজার সহ কর্মীদের ওপর। মারধরের পাশপাশি একজনের নাক ফেটে রক্তাক্ত হয় বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়র থানার অধীনে দামোদর নদের শালখাঁড়া মৌজায় আমতলা এলাকায়। হামলাকারীরা সকলেই পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার গোহগ্রাম পঞ্চায়েতের গোপডাল, লক্ষীপুর এলাকার বাসিন্দা বলে অভিযোগকারী দেবাশীষ বোস জানিয়েছেন।
হামলাকারীদের মধ্যে উত্তম মন্ডল স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্য বলে জানা গিয়েছে। বাকিরা উত্তম মন্ডলের ঘনিষ্ঠ বলে সূত্রের খবর। হামলায় আক্রান্ত দেবাশীষ বোস ওই বালি ঘাটের ম্যানেজার বলে জানিয়েছেন। মঙ্গলবার পাত্রসায়র থানায় সমস্ত ঘটনার বিষয় জানিয়ে হামলাকারী দশজনের নামে লিখিত অভিযোগ জমা করেছেন আক্রান্ত ব্যক্তি। পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানাতেও ঘটনার বিষয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দেবাশীষ বোস জানিয়েছেন। বালি খাদানে ঝামেলার খবর পেয়ে গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
জানা গিয়েছে, জনা দশেক ব্যক্তি শালখাঁড়া মৌজায় বালি ঘাটে নেমে বালি তোলা বন্ধের হুমকি দেয়। কারণ জানতে চাইলে তারা মারমুখী হয়ে ওঠে। ম্যানেজারকে খবর দেওয়ার পর দেবাশীষ বোস ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তাঁকে রীতিমতো ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। মারধর করা হয়। অভিযোগ, হামলাকারীরা দাবি করে প্রতি মাসে দুই লক্ষ টাকা তাদের না দিলে বালি খনন করা যাবে না। কিন্তু এই দাবি মানতে না চাওয়ায় উত্তম মন্ডল সহ জনা দশেক মিলে দেবাশীষ বোস ও তার কর্মীদের মারধর শুরু করে বলে অভিযোগ। এমনকি হামলাকারীরা দেবাশীষ বোসের গলা টিপে ধরে মেরে ফেলার চেষ্টাও করে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, উত্তম মন্ডল দীর্ঘদিন ধরেই দামোদর নদ থেকে বেআইনিভাবে বালি চুরি করে পাচার করে আসছে। আর তার সঙ্গে বেশ কিছু লোকজন এই বালি পাচারের কাজে যুক্ত রয়েছে। অভিযোগ, ফের উত্তম মন্ডলের মদতে বেআইনিভাবে বালি চুরি চলছে নদী থেকে। আর এই বালি চুরি করতে গিয়ে বৈধ বালিঘাট এলাকায় ঢুকে পড়াতেই তৈরি হয়েছে সমস্যা। যদিও এ ব্যাপারে উত্তম মন্ডলের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।