মন্দারমণির বিলাসবহুল হোটেল থেকে তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃত ব্যক্তি আমডাঙা আধাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের স্বামী বলে জানা গিয়েছে। তাঁর নাম আবুল নাসের। বয়স ৩৫ বছর। এই মৃত্যুর পিছনে কোনও রাজনৈতিক রং দেখছেন না আমডাঙা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান।
শনিবার সকাল থেকে ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ ছিল। বহুবার ডেকেও সাড়া মেলেনি। সেই সময় পুলিশে খবর দেন হোটেল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দরজা ভেঙে ঘর থেকে উদ্ধার হয় আবুল নাসেরের দেহ। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়।
সূত্রের খবর, দু’দিন আগে আবুল নাসের মন্দারমণির ওই হোটেলে আসেন। তাঁর সঙ্গে আর একজন মহিলা ছিলেন। যে মহিলার সঙ্গে আবুল বেড়াতে এসেছিলেন, তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়েছে পুলিশ। হোটেলের রেজিস্ট্রার খাতা থেকে বেশ কিছু তথ্য সংগ্রহ করেছে পুলিশ। হোটেলের কর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
আবুলের মৃত্যুর খবর পেতেই আমডাঙায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান জানিয়েছেন, সক্রিয় কর্মীর মৃত্যুতে দলের বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। তবে তাঁর মৃত্যুর জন্য কোনও রাজনৈতিক বিষয় দায়ী নয়, এমনটাই মনে করছে আমডাঙার তৃণমূল নেতৃত্ব।
পুলিশ সূত্রে খবর, বন্ধুদের সঙ্গে মন্দারমণি বেড়াতে এসেছিলেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। কিন্তু তার মধ্যে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল, সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। আবুল নাসেরের স্ত্রীর দাবি, স্বামীকে খুন করা হয়েছে।
সূত্রের দাবি, তৃণমূল নেতার মৃত্যুর নেপথ্যে সম্পর্কের জটিলতা ছিল। তৃণমূল নেতার বান্ধবী বেড়াতে এসে অন্য এক পুরুষের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এই বিষয়টি মনোমালিন্য হয়। তার পরেই হোটেলের ঘর থেকে যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পূর্ব মেদিনীপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) শুভেন্দ্র কুমার বলেন, একটি ঝুলন্ত দেহ হোটেলে পাওয়া গিয়েছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। ওই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা এক মহিলাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব থানাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরবর্তী কালে যদি কিছু পাওয়া যায়, আইন অনুযায়ী নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হবে।