হঠাৎ ট্রেলার লঞ্চের অনুষ্ঠানে এমন একটি ঘোষণা করলেন কেন যে আপনি আর ফেলুদা পরিচালনা করবেন না?
সম্পূর্ণ টেকনিক্যাল কারণ থেকেই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। আসলে ফেলুদা যখন করতে শুরু করেছিলাম যে স্কেল এবং বাজেট নিয়ে আমি এই কাজটা শুরু করেছিলাম, সেটা দিনে দিনে কমছে। আর এটার সম্পূর্ণ কারণ কিন্তু মার্কেট। ওটিটি সিরিজ তৈরির বাজেট কমেছে। একটি সিরিজ শ্যুট করতে যে-টাকা লাগে, ফেলুদার যে-কোনও একটা গল্পকে নিয়ে কাজ করতে তার থেকে অনেক বেশি টাকা লাগে। এটাই কারণ।
সত্যজিৎ রায়, আপনার হিরো। বারবার ইন্টারভিউতে বলেছেন ওনাকে ভগবান বলে মানেন । এমন সিদ্ধান্ত কেন?
আপস করে আমি সত্যজিৎ রায়ের গল্প নিয়ে কাজ করতে পারব না । আমি এসভিএফ এর কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ। সাধারণত ওয়েব সিরিজের যে-বাজেট থাকে, তার দ্বিগুনের বেশি বাজেট ওঁরা আমাকে দিয়েছেন। কিন্তু আমি যে-ধরনের গল্পগুলো করতে চাই তা ব্যয়সাপেক্ষ। আর ভূস্বর্গ কেলেঙ্কারি এমন একটা উচ্চতায় চলে গেছে তারপরে হঠাৎ করে কম বাজেটে কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
আপনি তো ওয়েব সিরিজ মনে করে কখনও ফেলুদা তৈরি করেননি? ছবির ভাবনা থেকে করেছেন?
একদমই তাই। উনি আমার চাইল্ডউড হিরো। ওনার প্রতি প্যাশানটা একটু আলাদা। টেকনিক্যালি দিক থেকে এটা ওয়েব সিরিজ ফরম্যাটে। কিন্ত শর্ট টেকিং থেকে শুরু করে আমার ক্যানভাস, গ্যাঞ্জার সবটাই ছবির মতন করে তৈরি করা। আমার কাছে ছবি তৈরির পারমিশন নেই। আমি ওয়েব সিরিজ ফরমেটটাকে ইউজ করেছি। এটা আমার একটা ড্রিম প্রজেক্ট।
এই স্বপ্নের জার্নিটা কেমন ছিল?
আমার ফেলুদা টোটা। জটায়ু অনির্বাণ চক্রবর্তী । এক একটা কাজের কিন্তু আলাদা জার্নি হয়। ফেলুদা করার স্বপ্নটা কিন্তু আমার একদম ছোটবেলা থেকে। ফেলুদার বই পড়ার সাথে সাথে আমি একরকম ভাবে ফেলুদাকে নিয়ে বেড়ে ওঠা । ওনার অ্যাডভেঞ্চারগুলো আমার মনকে ভীষণভাবে নাড়া দিত। এটা অসাধারণ একটা জার্নি বলতে পারি।
আমরা ওয়েবে কি আর ফেলুদা পাব না?
আমি ফেলুদা করব কি করব না এটা কিন্তু ফ্যাক্টর নয়। চাই নতুন নতুন মানুষ ফেলুদাকে তাদের মতন করে এক্সপ্লোর করুক। আমি একজন ফেলুদাপ্রেমী হিসেবে বলতে পারি সম্পূর্ণরূপে তাকে সাহায্য করব। তবে যদি কোনও দিন সিনেমা করার পারমিশন পাই তখন ভাবব। দর্শকদের জন্য বলব, এই সিরিজের মধ্যে দিয়ে কাশ্মীরকে নতুন রূপে দেখবেন।