• facebook
  • twitter
Thursday, 19 December, 2024

রাজ্য চাইলে বৃহত্তর স্বার্থে জমি অধিগ্রহণ করতে পারে: হাইকোর্ট

নেপাল দূতাবাস জমি দিতে রাজি না হওয়ায় নতুন করে অন্য পথে লাইন নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। এটা আইনি সিদ্ধ নয় বলে মামলা দাখিল হয়।

ফাইল চিত্র

বৃহস্পতিবার জমি অধিগ্রহণ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাজ্য চাইলে বৃহত্তর স্বার্থে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করতে পারে, একথা জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সেক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি হস্তান্তর করতে পারে রাজ্য সরকার। মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের জন্য কলকাতা সংলগ্ন একটি জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার নিষ্পত্তি করে এমনই নির্দেশ দিল বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের বেঞ্চ।

আদালত সূত্রে খবর, মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের জন্য জমি অধিগ্রহণ মামলা ওঠে হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার সেই মামলারই রায় দিল আদালত। বিচারপতি তাঁর আদেশনামায় উল্লেখ করেছে, ‘আইনি পথে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া যদি বৃহৎ স্বার্থে হয়, তবে তা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মাধ্যমেই শেষ হয়ে যায়। প্রয়োজনে রাজ্য তার নিজস্ব ক্ষমতায় জমি কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে নিতে পারে’।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের জন্য দ্বিতীয় পর্যায়ে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেয় রাজ্য সরকার। অভিযোগ, ওই এলাকার প্রথম পর্যায়ের অধিগ্রহণে কোনও আপত্তি তোলা না হলেও দ্বিতীয় পর্যায়ে আপত্তি আসে। কারণ, এবার মামলাকারীর জমি ওই বিজ্ঞপ্তির মধ্যে পড়ে যায়।

জানা গিয়েছে, মেট্রোর কাজের জন্যে নেপাল দূতাবাস তাদের জমির একটা অংশ মেট্রোর কাজে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ায় মামলাকারীর জমি তার আওতায় চলে আসে। মামলাকারীর অভিযোগ, প্রথম যে পথে লাইন হওয়ার কথা ছিল, তাতে তার জমি সুরক্ষিত ছিল। কিন্তু নেপাল দূতাবাস জমি দিতে রাজি না হওয়ায় নতুন করে অন্য পথে লাইন নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা হয়। এটা আইনি সিদ্ধ নয় বলে মামলা দাখিল হয়।

কিন্তু আদালত সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। বৃহত্তর জনস্বার্থে রাজ্যের নিজের অধিকার বলে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ যে আইনত সিদ্ধ, তা জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এক্ষেত্রে মানুষের স্বার্থে চাইলে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জমি হস্তান্তর করতে পারে রাজ্য সরকার। মেট্রো রেলের সম্প্রসারণের জন্য কলকাতা সংলগ্ন এই জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া মামলার নিষ্পত্তি করে এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়।