• facebook
  • twitter
Wednesday, 18 December, 2024

‘এক দেশ এক ভোট’ বিল নিয়ে দোলাচলে মোদী সরকার

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল। এক দেশ, এক ভোট নিয়ে এর আগে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি।

ফাইল চিত্র

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় মিলেছে সবুজ সঙ্কেত। এবার সংসদের পালা। কিন্তু সোমবার লোকসভায় পেশ হচ্ছে না এক দেশ-এক ভোট বিল। প্রাথমিকভাবে বিলটি এদিন পেশ করা হবে বলে সংসদের সূচিতে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরে যে চূড়ান্ত কার্যসূচি ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে এক দেশ-এক ভোট বিল নেই। এই বিল নিয়ে কি দোলাচলে সরকার নাকি বিরোধী শিবিরকে বিভ্রান্ত করতে পরিকল্পিত কৌশল, তা এখনও জানা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভা সংবিধান (১২৯ সংশোধনী) বিল, ২০২৪, এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী বিল), ২০২৪ অনুমোদন করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় সেগুলি সাংসদদের কাছে পাঠিয়েও দেওয়া হয়। তারপরই জানা যায়, সোমবার আইনমন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল বিলগুলি সংসদে পেশ করবেন। আইনমন্ত্রী বিলগুলি পেশ করার পর তা যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে পাঠানো হতে পারে আলোচনার জন্য। কিন্তু শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে এল সরকার। সোমবারের চূড়ান্ত তালিকায় ওই বিলগুলি রাখা হয়নি। সংসদের চলতি অধিবেশন ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ফলে শেষ পর্যন্ত এই অধিবেশনে আদৌ বিলটি পেশ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়ে গেল।

প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল। এক দেশ, এক ভোট নিয়ে এর আগে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি। তাদের যুক্তি ছিল, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয়, সাংসদ এবং বিধায়ক নির্বাচনের ক্ষেত্রে যেটুকু বৈচিত্রের সম্ভাবনা রয়েছে, বিজেপির আগ্রাসী প্রচারের মুখে তা ভেঙে পড়তে পারে। দেশের একেক রাজ্যে বিধানসভার মেয়াদ শেষ হয় একেক সময়। একসঙ্গে ভোট করাতে হলে কোনও কোনও রাজ্যের ভোট এগিয়ে আনতে হবে। কোনও কোনও রাজ্যের ভোট পিছিয়ে দিতে হবে। যা পদ্ধতিগতভাবে চরম সমস্যার।

তবে অতীতের অভিজ্ঞতা অন্য কথা বলছে। ৩৭০ ধারা বাতিলের বিল যখন সংসদে পেশ করে, তখন অধিবেশন শুরুর ঠিক প্রাক মুহূর্তে সংসদীয় কার্যক্রমে যোগ করা করেছিল সরকার। ফলে, তালিকা থেকে বিলের নাম সরিয়ে নেওয়া আদতে ফের কোনও কৌশল কিনা, সেই প্রশ্নও থেকে যাচ্ছে।