• facebook
  • twitter
Thursday, 19 December, 2024

প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ অঙ্কের ক্লাস: প্রিয়াঙ্কা

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে পাল্টা জবাব দেন প্রিয়ঙ্কা। নেত্রীর বক্তব্য, 'প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ একঘেয়ে, একেবারেই কোনও নতুনত্ব নেই।

এটা কি সংবিধান নিয়ে বক্তব্য নাকি ২ ঘণ্টার অঙ্কের ক্লাস। সংসদের নরেন্দ্র মোদীর বক্তৃতাকে এমনই কটাক্ষ করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। শনিবার ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সংসদে ভাষণ দেন মোদী। ভারতের সংবিধানের মধ্যেই যে বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য আছে, সেই কথা বলার পাশাপাশি গান্ধী পরিবারকে তুলোধোনা করে বলেন কংগ্রেস জমানায় সংবিধানের সঙ্গে বারবার ছিনিমিনি খেলা হয়েছে এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে। এমনি ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থাকে দেশের কলঙ্কময় অধ্যায় বলে বর্ণনা করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করে পাল্টা জবাব দেন প্রিয়ঙ্কা। নেত্রীর বক্তব্য, ‘প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ একঘেয়ে, একেবারেই কোনও নতুনত্ব নেই। তাঁর বক্তব্য শুনে যেন ১০ বছর আগের সেই স্কুলে বসে অঙ্কের ডবল ক্লাস করার মতো লাগছিল। ভাষণের সময় সংসদের সবাই বিরক্ত হচ্ছিলেন।’

এমনকি বিজেপির সাংসদদেরও এক হাত নিয়ে প্রিয়াঙ্কা বলেন, মোদীর বক্তব্য শুনতে মনোযোগীই ছিলেন না বিজেপি সাংসদরা। ওয়েনাডের সাংসদের দাবি ‘জেপি নাড্ডা হাত ঘষছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নজর করার পর নাড্ডা এমন ভাব করলেন যেন তিনি মন দিয়ে শুনছেন। অমিত শাহ মাথায় হাত দিয়ে বসেছিলেন। আর পীযূষ গোয়েল তো প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছিলেন।’

প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এরপরই আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়ে বলেন, ‘মোদী সরকার যদি সত্যিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে থাকে, তাহলে আদানি ইস্যুতে আলোচনা করতে তারা ভয় পাচ্ছেন কেন? সরকারের অস্বচ্ছ নীতি এবং আদানির মতো বিতর্কিত বিষয়গুলির প্রতি নিশ্চুপ থাকার কারণেই মোদীর বক্তব্যে কোনও বিশ্বাসযোগ্যতা নেই।’

সংবিধানের বর্ষপূর্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ দিনেও শাসক দল ও বিরোধী দলের মধ্যে তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণ-প্রতিআক্রমণ চলেছে সংসদে। সংবিধান  রক্ষা, গণতন্ত্র এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে দু’পক্ষই  নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে চেয়েছে।