প্রবীণ কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ইভিকেএস এলাঙ্গোভান প্রয়াত হয়েছেন। শনিবার সকালে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তাঁর স্ত্রী এবং একটি ছেলে রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ফুসফুসে সংক্রমণের জন্য প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন এবং সকাল ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারী উপনির্বাচনে নির্বাচিত হন। তিনি তামিলনাড়ু বিধানসভার ইরোড পূর্ব আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁর ছেলে থিরুমগান এভারার মৃত্যুর কারণে নিজেই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
রাজনৈতিক উত্তরাধিকার সূত্রে একটি একটি বিশিষ্ট পরিবার থেকে উঠে আসেন। তিনি দ্রাবিড় আইকন পেরিয়ার ইভি রামাসামির ভাইয়ের নাতি। তাঁর বাবা, ইভিকে সম্পাথ যিনি দ্রাবিড় আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। ডিএমকে প্রতিষ্ঠাতা আন্নাদুরাইয়ের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও হেরে যান। তিনি কংগ্রেসে যোগদানের আগে তামিল জাতীয়তাবাদী দল চালু করেন।
তাঁর রক্তে রাজনীতি থাকায়, এলাঙ্গোভান অল্প বয়সেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। যদিও তাঁর মা, সুলোচনা সম্পাথ, এআইএডিএমকে-তে গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। তিনি কংগ্রেসের সঙ্গেই ছিলেন এবং ১৯৮৪ সালে বিধানসভায় নির্বাচিত হন। ২০০৪ সালে লোকসভায় নির্বাচিত হওয়ার পর, তিনি মনমোহন সিং সরকারের বস্ত্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এর আগে তিনি টিএনসিসি-র সভাপতি ছিলেন।
তিনি তাঁর বাগ্মীতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। তিনি নির্বাচনী প্রচারে বিরোধীপক্ষকে মোকাবেলা করার জন্য দাবি করেছিলেন যে, প্রয়াত এআইডিএমকে নেত্রী এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার আসল নাম ছিল ‘কোমলাভল্লি আম্মু’ ।
প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। কয়েকদিন আগে তিনি হাসপাতালে গিয়ে এলাঙ্গোভানের সঙ্গে দেখাও করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী এক শোক বার্তায় জানিয়েছেন, “এলাঙ্গোভানের মৃত্যু রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত ক্ষতি। জনজীবনে তাঁর অবদান যুগ যুগ ধরে স্মরণ করা হবে।”
এছাড়া টিএনসিসি সভাপতি কে সেলভাপেরুনথাগাই, ভিসিকে সভাপতি থোল থিরুমাবলাভান, এমডিএমকে প্রধান ভাইকো, পিএমকে প্রতিষ্ঠাতা এস রামাদোসও এলাঙ্গোভানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর জনসেবার কথাও স্মরণ করেছেন।