• facebook
  • twitter
Friday, 27 December, 2024

দাম ঊর্ধ্বমুখী, মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের পাত থেকে উধাও ডিম

বাঁকুড়ার ৫ হাজার ৭৩৯টি কেন্দ্রে ডিম রান্না বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার থেকেই পাতে ডিম হয়তো আর জুটবে না পড়ুয়াদের।

ফাইল চিত্র

বেড়েই চলেছে ডিমের দাম। আর এর জেরে এবার বিপাকে পড়তে চলেছে সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা। রাজ্যের অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের মিড ডে মিলে ডিমের জন্যে বরাদ্দ থাকে মাত্র সাড়ে ছ’টাকা। অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা জানিয়ে দিয়েছে, মাত্র সাড়ে ছ’টাকায় কিছুতেই পড়ুয়াদের খাবারের পাতে ডিম দেওয়া সম্ভব নয়। বাঁকুড়ার ৫ হাজার ৭৩৯টি কেন্দ্রে ডিম রান্না বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার থেকেই পাতে ডিম হয়তো আর জুটবে না পড়ুয়াদের।

গর্ভবতী মহিলা, প্রসূতি মা থেকে শুরু করে পাঁচ বছর বয়স পর্যন্ত শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলগুলিতে প্রাক প্রাথমিক শিক্ষা ও পরিপূরক পুষ্টিযুক্ত খাবার পায়। ডিম বন্ধের ফলে তাঁরা পুষ্টিকর খাবার থেকে বঞ্চিত হবেন। ডিমের পরিবর্তে বিভিন্ন অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে খিচুড়ি রান্না শুরু হয়েছে বলে খবর। শিশুবিকাশ প্রকল্পের বাঁকুড়া জেলার ডিপিও নীলাঞ্জন মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের দাবিগুলি রাজ্যের দফতরে পাঠানো হচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, কার্তিক মাসে অন্ধ্র প্রদেশ, ওড়িশায় ডিমের চাহিদা ছিল না। সেই কারণে ডিমের যোগান কম ছিল। আচমকা চাহিদা বৃদ্ধির ফলে ডিমের দাম বেড়ে গিয়েছে। এছাড়া মুরগির খাবারের দাম বৃদ্ধির কারণেই ডিমের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর পাশাপাশি ডিমের ট্রে থেকে শুরু করে কার্টুন আনার খরচ বাড়ছে। সেই কারণে শ্রমিকদের খরচ বাড়ছে। একই সঙ্গে মালয়েশিয়া, বাংলাদেশের মতো দেশে রপ্তানিরও দামবৃদ্ধির নেপথ্যে রয়েছে।

ওয়েস্ট বেঙ্গল পোলট্রি ফেডারেশন সূত্রে খবর, রাজ্যে দৈনিক ৪ কোটির কিছু বেশি ডিমের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বাংলায় দৈনিক সাড়ে তিন কোটি ডিম উৎপাদিত হয়। বাকি ডিমের জন্য ভিনরাজ্যের ওপর ভরসা করতে হয়। দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলি থেকে বাকি ডিম কেনে রাজ্য। পশ্চিমবঙ্গে ডিম উৎপাদন কিছুটা কম হওয়ায় ভিন রাজ্য থেকে বাড়তি ডিম আমদানি করতে হচ্ছে। সেই কারণেই দাম বেড়ে যাচ্ছে।

পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহায়িকা অ্যাসোসিয়েশনের বাঁকুড়া জেলার যুগ্ম আহ্বায়ক শিখা নিয়োগী জানিয়েছেন, তাঁরা খুব স্বল্প সান্মানিক পান। তাই সরকারি বরাদ্দের চেয়ে ডিমের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি হওয়ায় তাঁরাও বিপাকে পড়েছেন। গাঁটের কড়ি খরচা করে কেন্দ্র চালাতে হচ্ছে। বর্তমানে বাঁকুড়া জেলায় বর্তমানে ৫৭৩৯টি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র রয়েছে। ডিম বন্ধের ফলে তাঁরা আর পুষ্টিকর খাবার পাবেন না।