• facebook
  • twitter
Thursday, 12 December, 2024

ত্রিপুরার কাছে বিদ্যুৎ বিলের ১৬১ কোটি টাকা বকেয়া বাংলাদেশের

ত্রিপুরার কাছে ইলেকট্রিক বিলের ১৬১ কোটি টাকা বকেয়া বাংলাদেশের। ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেডের (টিএসইসিএল) এই টাকা পাওয়ার কথা।

ত্রিপুরার কাছে ইলেকট্রিক বিলের ১৬১ কোটি টাকা বকেয়া বাংলাদেশের। ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেডের (টিএসইসিএল) এই টাকা পাওয়ার কথা। গোটা বিষয়টি কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ত্রিপুরার বিদ্যুৎ মন্ত্রী রতনলাল নাথ।

বিদ্যুৎ মন্ত্রী বলেন, ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড (টিএসইসিএল) প্রতিদিন ৭০ থেকে ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে বাংলাদেশকে। এর ফলে রাজ্যের বাসিন্দাদের দৈনিক চাহিদা মেটাতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎ দপ্তরকে।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, বাংলাদেশের কাছে বকেয়া টাকার পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ১৬১ কোটি। এই বকেয়া টাকা মেটানোর বিষয়টি এনটিপিসি বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগমকে (এনভিভিএন)-কে জানানো হয়েছে। কেন্দ্রীয় এজেন্সিটি বাংলাদেশকে বকেয়া টাকা অবিলম্বে পরিশোধ করতে বলেছে।

বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষেত্রে নোডাল এজেন্সি হল এনভিভিএন। তারাই ত্রিপুরার পাওয়ার প্রোজেক্ট থেকে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি দেখে এবং অর্থ সংগ্রহ করে। মন্ত্রী বলেন, এত বিপুল টাকা বকেয়া থাকা সত্ত্বেও, টিএসইসিএল প্রতিবেশী দেশটিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বন্ধ করেনি।

২০১৬ সালের মার্চ মাসে ত্রিপুরার মালিকানাধীন ওএনজিসি ত্রিপুরা পাওয়ার কোম্পানি (ওটিপিসি) বাংলাদেশকে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা শুরু করে। মাঝেমধ্যে তা বাড়িয়ে ১৬০ মেগাওয়াটও করা হয়। টিএসইসিএলের এক আধিকারিক বলেন, ২০১৬ সালে প্রথম চুক্তির পর আমরা আরও দু’বার এই চুক্তি পুনর্নবীকরণ করেছি বাংলাদেশেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়টি অব্যাহত রাখার জন্য।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি টিএসইসিএল অনুরোধ করেছে ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে। কারণ বাংলাদেশ বর্তমানে বিদ্যুৎ সংকটে ভুগছে। এর ফলে সেই দেশে গ্রাহক হয়রানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ওই আধিকারিক বলেন, আলোচনা চলছে। তবে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি এবং ছাড়পত্র আবশ্যক। পুরো বিষয়টি কার্যকর করতে হলে একটি চুক্তি স্বাক্ষর এবং অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করতে হবে। ২০২০ সালে টিএসইসিএল নেপালে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছিল। তবে নেপাল নতুন করে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ না করায় সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।

টিএসইসিএললের আধিকারিক বলেন, আগরতলা থেকে ৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে দক্ষিণ ত্রিপুরার পালাটানায় ৭২৬ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ওটিপিসি গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশিরভাগ রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। ওএনজিসি, ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিজিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, আইডিএফসি ব্যাংক এবং ত্রিপুরা সরকার জয়েন্ট ভেঞ্চার ওটিপিসি ২০১৩ সালের জুন মাসে পালাটানায় ৭২৬ মেগাওয়াট প্রকল্পটি স্থাপন করে।

ওটিপিসির কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট, উত্তর-পূর্বের বৃহত্তম গ্যাস-ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এটি সিকিম বাদে উত্তর-পূর্বের ৭টি রাজ্যের প্রায় ৩৫ শতাংশ বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করছে।