• facebook
  • twitter
Friday, 20 December, 2024

কাঁথির সমবায় নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

আগামী ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১০৮টি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনে ৪৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ফাইল চিত্র।

এবার সমবায় ব্যঙ্কের নির্বাচনেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের আরও নির্দেশ, ভোটে কারচুপি রুখতে বুথে বুথে সিসিটিভি বসাতে হবে। লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এখন সাধারণ ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়টি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর কাঁথি কো–অপারেটিভ ব্যাঙ্কের ১০৮টি আসনে প্রতিনিধি নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনে ৪৩০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ইতিমধ্যেই রিটার্নিং অফিসার ও অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ করে যাবতীয় প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে সমবায় দপ্তর। এই নির্বাচনের জন্য প্রথমে কাঁথির তিনটি স্কুলে পাঁচটি বুথ তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল। তবে ১৫ তারিখ সর্বভারতীয় স্তরের পরীক্ষা রয়েছে। এই তিনটি স্কুলে পরীক্ষার সিট পড়েছে। তাই স্কুলগুলিকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

এই কারণে শেষ মুহূর্তে এই তিনটি স্কুলের পরিবর্তে অন্য জায়গায় বুথ তৈরির ব্যবস্থা করা হয়। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন এগরার প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর বেরা। ভোটারদের অসুবিধার কথা মাথায় রেখেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলারই শুনানি ছিল। ভোটের দিন সর্বভারতীয় পরীক্ষা থাকায় শংকরের আবেদন শীর্ষ আদালতে মঞ্জুর হয়নি।

এদিন সবপক্ষের সওয়াল জবাব শুনে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেন, ভোটের দিন রাজ্য সরকার এবং সমবায় নির্বাচন দপ্তরকে নতুন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যাতায়াতের জন্য পরিবহণের যথোপযুক্ত ব্যবস্থা করতে হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ওই পাঁচটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। প্রত্যেকটি বুথে সিসি ক্যামেরার বন্দোবস্তও করতে হবে।

প্রায় তিন বছর কাঁথি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে পরিচালন কমিটি নেই। স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করে আপাতত ব্যাঙ্ক চলছে। এই অবস্থায় ব্যাঙ্কে পরিচালন কমিটি গঠনের জন্য ভোটের দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা হয়। সেই মামলায় উচ্চ আদালত ভোট করার জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়। সেই নির্দেশ মেনেই ১৫ ডিসেম্বর ভোটের দিন স্থির করা হয়।